তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ঢাকা, ৫ মার্চ
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ঢাকা, ৫ মার্চ

অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় দিনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কে ডিসিদের কোনো প্রস্তাব ছিল কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে বসলে যে কথাগুলো বলেন, ওনারাও (ডিসি) একই কথা বলেছেন। আপনারা যেমন বলেন, গোটা বাংলাদেশে গণমাধ্যমের মধ্যে শৃঙ্খলা আনা দরকার, আপনারা যেমন বলেন (সাংবাদিকদের) ন্যূনতম একটি যোগ্যতার বিষয় থাকা দরকার, গণমাধ্যমকর্মী আইন খুব শিগগিরই করে ফেলা দরকার; আপনাদের বক্তব্যের প্রতিফলন, একই ধরনের বক্তব্য পেয়েছি। আমি বলেছি, সাংবাদিকেরাসহ সর্বস্তরে সবার দাবি যেহেতু একই রকম, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে এ দাবিগুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করে সে জায়গায় কাজ করব।’

গুজব প্রতিরোধে বা নিয়ন্ত্রণে ডিসিদের পক্ষ থেকে কোনো সুপারিশ বা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্ন ছিল তথ্য প্রতিমন্ত্রীর কাছে। উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গুজব নিয়ে তারা (ডিসি) খুব চিন্তার মধ্যে আছেন, আমরা সবাই আছি। গুজব প্রতিরোধ নিয়ে কিছু আলাপ করেছি (ডিসিদের সঙ্গে)। অনলাইনের মাধ্যমে যে গুজবগুলো ছড়ায়, সেখানে আমি একা পারব না। এখানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী (এ সময় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ উপস্থিত ছিলেন) আছেন, আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সেগুলো নিয়েও কাজ করছি।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অনলাইনে কতগুলো অনিবন্ধিত পোর্টাল আছে, যে পোর্টালগুলো আসলে বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়ায়। সেগুলোকে শৃঙ্খলায় আনার একটা পরিকল্পনা আছে। যারা পেশাদার, নিবন্ধিত ও আইনগতভাবে সিদ্ধ, সেগুলোই থাকবে এবং চলবে, যাতে সবকিছুর মধ্যে একটা জবাবদিহি ও শৃঙ্খলা থাকে। যেটা সাংবাদিকেরাও চান।