হল–মার্ক কেলঙ্কারি

আদালত থেকে পালিয়েছেন দণ্ডিত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান

সোনালী ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় করা মামলায় কারাদণ্ড পাওয়া সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার আদালত থেকে পালিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন তিনি। তবে রায় ঘোষণার পর তিনি আদালতকক্ষ থেকে পালিয়ে যান।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সরকারি কৌঁসুলি মীর আহমেদ আলী সালাম প্রথম আলোকে বলেন, ঋণ জালিয়াতির মামলায় হল–মার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদসহ মোট ১৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এর বিচারক আবুল কাসেম। এ মামলায় জামাল উদ্দিনের পাঁচ বছর কারাদণ্ড হয়। তিনি জামিনে ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন, পরে পালিয়ে যান।

সোনালী ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির এ মামলায় তানভীর মাহমুদ, তাঁর স্ত্রী ও হল-মার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম, তানভীরের ভায়রা হল-মার্ক গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ, টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম ও সাইফুল হাসান, নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক ও আবদুল মতিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

পাশাপাশি জামাল উদ্দিন ছাড়া বাকি সাতজনকে ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাঁরা হলেন সোনালী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক মহাব্যবস্থাপক ননী গোপাল নাথ ও মীর মহিদুর রহমান, প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মাইনুল হক, উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) সফিজউদ্দিন এবং এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে রূপসী বাংলা (সাবেক শেরাটন) হোটেল শাখা থেকে হল-মার্ক মোট ২ হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এর মধ্যে স্বীকৃত বিলের বিপরীতে দায় (ফান্ডেড) অর্থ হচ্ছে ১ হাজার ৫৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা। এ ঘটনায় ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর রমনা থানায় মামলা করে দুদক।

তদন্ত শেষে পরের বছর ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর ১১টি মামলায় তানভীর মাহমুদ, জেসমিন ইসলাম, তুষার আহমেদসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়।