নওগাঁয় আটকের পর র্যাবের হেফাজতে সুলতানা জেসমিন (৪৫) নামের এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রতিবেদন চেয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। গতকাল সোমবার দেওয়া এক বিবৃতিতে কমিশন এই প্রতিবেদন চাওয়ার বিষয়টি জানায়। কমিশন এভাবে হেফাজতে মৃত্যুকে মারাত্মক অপরাধ ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছে।
গত বুধবার সকালের দিকে নওগাঁ শহর থেকে সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়। প্রতারণার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে আটক করা হয়েছে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
আটকের পর মস্তিষ্কে গুরুতর রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে গত শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুলতানা জেসমিন মারা গেছেন বলে র্যাব দাবি করেছে। কিন্তু স্বজনদের অভিযোগ, র্যাব হেফাজতে নির্যাতনের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
মানবাধিকার কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গণমাধ্যমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এফ এম শামীম আহাম্মদ কর্তৃক “র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই নারী পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান”-সংক্রান্ত প্রকাশিত বক্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অনভিপ্রেত।
তিনি প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন না এবং কীভাবে মৃত ব্যক্তির মাথায় আঘাত লেগেছে, তা তাঁর জানার কথাও নয়। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদকালে মৃত ব্যক্তির পড়ে গিয়ে আঘাত পাওয়া এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যুর ঘটনা অস্বাভাবিক মর্মে প্রতীয়মান হয়, যা যথেষ্ট সন্দেহের উদ্রেক করে।’
কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়, হেফাজতে মৃত্যুসংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়টি র্যাব বাদে পুলিশের অন্য কোনো ইউনিটের মাধ্যমে তদন্ত করে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে বলা হয়েছে।