মাইকেল মিলার
মাইকেল মিলার

সব প্রক্রিয়া শেষে গণতান্ত্রিক নির্বাচন দেখতে চায় ইইউ

বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন মিলার। গতকাল এ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে ইউএনবি।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেছেন, সব প্রক্রিয়া শেষে গণতান্ত্রিক নির্বাচন দিতে হবে, যার মাধ্যমে নতুন সংসদ এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সরকার গঠিত হবে। এর ফলে মৌলিক অধিকার ও আইনের শাসনের প্রতি মানুষ শ্রদ্ধাশীল ও সতেচন থাকবে।

বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন মিলার। গতকাল এ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে ইউএনবি।

ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেছেন, ‘আকাশছোঁয়া উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকলেও পরিবর্তন সব সময়ই কঠিন। আমাদের কাছে এগুলো হচ্ছে এমন নীতি, যা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্কের মূল বিষয়।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ইইউ অংশীদারত্বকে দ্রুত বিকাশমান ও গতিশীল হিসেবে দেখা হচ্ছে। গত বছর দুই পক্ষের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন করা হয়েছে।

মিলার আরও বলেন, এটি কঠিন সময়। সবকিছু বা সব ধরনের সংস্কার একসঙ্গে করা সম্ভব নয়, তবে কিছু সফলতা দ্রুত অর্জন করতে হবে। সরকার যে সংস্কার করতে সক্ষম, তাদের সেটি প্রমাণ করে দেখাতে হবে।

ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য একটি প্রক্রিয়া থাকতে হবে। আমরা মনে করি সেই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করা এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে কিছু সময় দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যাতে তারা প্রমাণ করতে পারে এসব সংস্কার করতে তারা সক্ষম।’

সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ইচ্ছা জানিয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব নেই। আপনাদের অগ্রাধিকারগুলো কী, তা আমাদের বলুন এবং তারপর আপনাদের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার সুযোগ দেন আমাদের। আমরা অনেক কিছু করতে পারি।’

অভূতপূর্ব পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পর এখন দেশের পরিবর্তন ও প্রত্যাশিত সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করতে সরকারকে সহযোগিতা করতে উৎসাহী রাষ্ট্রদূত মিলার।

বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে নতুন অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি (পিসিএ) নিয়ে প্রথম দফার আলোচনা আগস্টে স্থগিত করা হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, ইইউ ও বাংলাদেশের মধ্যে নতুন চুক্তির জন্য তাদের কাছে একটি লিখিত বার্তা রয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে সেটি বাংলাদেশি পক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি (পিসিএ) নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আলোচনা অব্যাহত থাকবে। জলবায়ু পরিবর্তন ও সুরক্ষাসহ বিস্তৃত নীতিগত ক্ষেত্রগুলো অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তাদের সম্পর্ককে উন্নত করাই পিসিএর ভবিষ্যৎ উদ্দেশ্য।

বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেছেন, সরকারকে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে অসুবিধাগুলো মোকাবিলায় সহায়তা করা এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কের অগ্রাধিকার হিসেবে বাধা অপসারণের উপায় খুঁজে বের করার কাজ করা হবে।