বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

হাইকোর্টে রুল খারিজ, মির্জা ফখরুল জামিন পাননি

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামিন পাননি। এই মামলায় তাঁর জামিন প্রশ্নে রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রুলের ওপর শুনানি নিয়ে আজ বুধবার বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

রায়ে আদালত বলেছেন, অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে এই মুহূর্তে জামিন দেওয়া হলে তদন্ত বাধাগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যে কারণে এই মুহূর্তে তাঁকে জামিন দেওয়া সমীচীন হবে না। তাই রুল খারিজ করা হলো।

মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদনে যুক্তি হিসেবে তাঁর অসুস্থতার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। হাইকোর্ট তাঁর অসুস্থতার দিক বিবেচনা করে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

রায়ের পর মির্জা ফখরুলের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রুল ডিসচার্জ (খারিজ) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে কি না, তা মক্কেলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

মামলায় গত ২২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এরপর জামিন চেয়ে গত ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। আবেদনের শুনানি নিয়ে ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট জামিন প্রশ্নে রুল দেন। মামলায় মির্জা ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। রাষ্ট্রপক্ষকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

গত ১৭ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুলের আইনজীবীদের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রুল শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন। সেদিন মির্জা ফখরুলের আইনজীবীর পক্ষে সময়ের আরজি জানানো হয়। আদালত ওই সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবি করে আদেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ রুলের ওপর শুনানি শেষে তা খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্ট।

আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন। এ সময় মির্জা ফখরুলের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও আইনজীবী কায়সার কামাল উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম আবদুর রাফেল।