সাংগঠনিক কাঠামো বিস্তৃতির অংশ হিসেবে এবার লালমনিরহাট জেলায় ১১১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জেলা পর্যায়ে এটি তাদের ১৫তম আহ্বায়ক কমিটি।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লালমনিরহাট জেলার কমিটি প্রকাশ করা হয়। সংগঠনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল ছয় মাসের জন্য এই কমিটি অনুমোদন করেছেন।
কমিটিতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শামস্ বিন শাহরিয়ার নাঈমকে আহ্বায়ক, লালমনিরহাট সরকারি কলেজের মো. হামিদুর রহমানকে সদস্যসচিব, রংপুরের কারমাইকেল কলেজের ছাত্র সবুজ মিয়াকে মুখ্য সংগঠক এবং বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষার্থী ফারজানা প্রীতিকে মুখপাত্র করা হয়েছে। এ ছাড়া কমিটিতে ১২ জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক, ৮ জনকে যুগ্ম সদস্যসচিব, ১৩ জনকে সংগঠক ও ৭৪ জনকে সদস্য করা হয়েছে।
এর আগে দেশের ১৪টি জেলা ও দুটি মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জেলাগুলো হলো কুষ্টিয়া, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, শেরপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জামালপুর, কুমিল্লা, রংপুর, যশোর ও কুড়িগ্রাম। দুই মহানগর হলো কুমিল্লা ও রংপুর মহানগর। সব কটি কমিটিই ছয় মাসের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ফরিদপুর সদর থানায় ৫১ সদস্যের প্রতিনিধি কমিটি গঠন করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। আজ সন্ধ্যায় এই কমিটি অনুমোদন করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
৮ নভেম্বর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় প্রতিনিধি কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির সাংগঠনিক বিস্তৃতির কার্যক্রম শুরু হয়। সর্বশেষ ঘোষিত কমিটিসহ এখন পর্যন্ত দেশের ২৭টি থানা ও উপজেলায় জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার ১৭টি থানায় কমিটি করা হয়েছে। অন্য ১০টি থানা-উপজেলা ঢাকার বাইরের।