রবার খাত টানা লোকসান দিচ্ছে। বেদখল প্রায় পাঁচ হাজার একর জমি। ঠিকমতো অফিস করেন না কর্মকর্তা–কর্মচারীরা।
বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফআইডিসি) অন্যতম প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে রবারবাগান ও আসবাব তৈরি। কিন্তু রবার খাত টানা লোকসান দিচ্ছে। বাগান সম্প্রসারণে নেই গতি।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা–কর্মচারীরা নিয়ম মেনে অফিস করেন না। প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ হাজার একরের বেশি জমি বেদখলে। জমি রক্ষা করতে গিয়ে কর্মীরা মার খাচ্ছেন। এ অবস্থায় কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে রীতিমতো খাবি খাচ্ছে বিএফআইডিসি।
রাজধানীর মতিঝিলে বিএফআইডিসির প্রধান কার্যালয়ে গত ১১ আগস্ট ঢুকতেই নোটিশ বোর্ডে একটি বিজ্ঞপ্তি চোখে পড়ে। প্রতিষ্ঠানটির সচিব মেহেরুন্নেসা চৌধুরীর গত ১৯ জুন সই করা বিজ্ঞপ্তিতে লেখা, ‘ইদানীং সদর দপ্তরের কিছু কিছু কর্মকর্তা–কর্মচারী বিলম্বে অফিসে আসেন এবং অফিস সময় শেষ না করেই কর্মস্থল ত্যাগ করেন।
কিছু কিছু কর্মকর্তা–কর্মচারীকে দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পাদন না করে এদিক–সেদিক ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। ফলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর নথিপত্র যথাসময়ে উপস্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না, যা দাপ্তরিক নিয়মশৃঙ্খলার পরিপন্থী।’
বয়স বেড়ে যাওয়ায় ১৯৯৯ ও ২০০০ সালের দিকে প্রায় ৯০০ একর জমির রবারগাছ কাটা হয়েছিল। এরপর অনেক জায়গায় বাগান হয়ে গেলেও প্রায় ৫০ একর জায়গা ফাঁকা ছিল। এর মধ্যে ৩৫ একর জায়গায় রবার চারা লাগালে দুষ্কৃতকারীরা তা কেটে ফেলে।নন্দী গোপাল রায়, রামু রবারবাগানের ব্যবস্থাপক
কেবল প্রধান কার্যালয় নয়, প্রতিষ্ঠানটির ঢাকার মিরপুর–২ নম্বর সেকশনের কেবিনেট ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট (সিএমপি) এবং তেজগাঁও শিল্প এলাকার ইস্টার্ন উড ওয়ার্কসের কার্যালয়েও একই অবস্থা বলে অভিযোগ করেছেন সেখানকার ব্যবস্থাপকেরা।
জানতে চাইলে গত ২৪ আগস্ট বিএফআইডিসির চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, করোনার কারণে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। এখন অবস্থার উন্নতি হয়েছে।
তবে বিএফআইডিসির প্রধান কার্যালয়ে তিন দিন গিয়ে দেখা যায়, পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। কয়েকজন কর্মকর্তার কক্ষে একাধিকবার গিয়েও তাঁদের পাওয়া যায়নি।
বিএফআইডিসি দেশের অন্যতম পুরোনো একটি প্রতিষ্ঠান। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানটি ৬৭ নম্বর অধ্যাদেশবলে ১৯৫৯ সালের ৩ অক্টোবর যাত্রা শুরু করে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৯৬১-৬২ সালে বন বিভাগ থেকে বিএফআইডিসির কাছে দেশের রবার চাষ ও উন্নয়ন কার্যক্রম ন্যস্ত করা হয়।
বিএফআইডিসির সব মিলিয়ে প্রায় ৪২ হাজার ১৭১ একর ভূমি রয়েছে। এর মধ্যে তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে ৩৬ হাজার ৯০৬ একর। বেদখল হয়ে গেছে প্রায় ৫ হাজার ২৬৫ একর।
বিএফআইডিসির ১৮টি রবারবাগান, আটটি শিল্প ইউনিট, একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, একটি বিক্রয়কেন্দ্র এবং চারটি আঞ্চলিক কার্যালয় রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের দাবি, জমি দখল করে রেখেছেন প্রভাবশালীরা। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণেও কিছু জমি রয়েছে। বেদখল জায়গা উদ্ধারে মামলা করাসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
বিএফআইডিসি টানা তিন বছর লোকসান দেওয়ার পর গত দুই বছরে লাভ করেছে। সর্বশেষ ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ৫৭ কোটি টাকা লাভ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে আগের তিন অর্থবছরে (২০১৭-১৮ থেকে ২০১৯-২০) তারা ৭৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা লোকসান দিয়েছে।
২০১৭-১৮ থেকে ২০২১-২২—এ পাঁচ অর্থবছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এ সময় বিএফআইডিসির শিল্প খাত (কারখানা ইউনিট) লাভ করেছে। লোকসান দিয়েছে রবার খাত। এ খাতে পাঁচ বছরে লোকসান ১৫৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
জানা গেছে, বনশিল্পের তিনটি অঞ্চলে ১৮টি রবারবাগান রয়েছে। এর মধ্যে সিলেটের চারটি, টাঙ্গাইলের একটি ও চট্টগ্রামের তিনটি বাগান লোকসান দিচ্ছে।
রবারবাগানের কর্মকর্তারা বলছেন, জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ ও জাতীয় মজুরি কমিশন-২০১৫ কার্যকর হওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দ্বিগুণ হয়ে যায়। অন্যদিকে গাছের জীবনচক্র হারানো এবং অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় রবারবাগানকে লোকসান গুনতে হচ্ছে। বিএফআইডিসির চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা লোকসান কমানোর চেষ্টা করছি। এ খাতে গতবারের তুলনায় এবার লোকসান কম হয়েছে।’
সাধারণ গাছের তুলনায় রবার গাছ কয়েক গুণ বেশি কার্বন ডাই–অক্সাইড শোষণ ও উষ্ণতা রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একই সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভূমিক্ষয় ও ক্ষতিকর কৃত্রিম রবারপণ্য রোধ এবং দেশি চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রবার রপ্তানির রবার চাষ সম্প্রসারণ বিএফআইডিসির অন্যতম লক্ষ্য।
ভূমির সংকট কাটাতে বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন আইন ২০২০–এর ২৯ নম্বর ধারার ১ উপধারায় বলা আছে, রবার চাষের জন্য বন অধিদপ্তরের পতিত ও অব্যবহৃত জমি দীর্ঘমেয়াদি ইজারা নিতে পারবে বনশিল্প। আর ২ নম্বর উপধারায় বলা আছে, সরকারি–বেসরকারি জমিও অধিগ্রহণ করতে পারবে তারা।
অথচ ১৯৯৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২৬ বছরে দেশে মাত্র একটি রবারবাগান তৈরির কাজ শুরু হয়। বনশিল্পের পরিকল্পনায় নতুন রবারবাগান তৈরির উদ্যোগও নেই।
বিএফআইডিসির চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বন বিভাগের জমি খালি হলে সামাজিক বনায়নসহ নানা কাজে চলে যাচ্ছে। জমি কিনে রবারবাগান করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।’
বিএফআইডিসির আটটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান আসবাব, রেলওয়ে স্লিপার, বৈদ্যুতিক খুঁটি প্রভৃতি কাঠজাত পণ্য উৎপাদন করে। কারখানাগুলোর ছয়টি হয়েছে পাকিস্তান আমলে। স্বাধীন দেশে বিএফআইডিসি প্রথম ১৯৭৩ সালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ইস্টার্ন উড ওয়ার্কস গড়ে তোলে।
এর ৪৩ বছর পর ২০১৬-১৮ সালে শ্রীমঙ্গলে রবারকাঠ প্রেসার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট করা হয়। অথচ সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও প্রকল্পে বিএফআইডিসির আসবাবের প্রচুর চাহিদা। কারখানা কম থাকায় তারা আসবাব সরবরাহে হিমশিম খাচ্ছে।
করপোরেশনের চেয়ারম্যান বলেছেন, শিল্প ইউনিট আগে যা ছিল, তা–ও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খুলনার দৌলতপুরের বড় শিল্প ইউনিটটি ২০০৫ সালে বিক্রি করে দেওয়া হয়। ওই অঞ্চলে নতুন একটি শিল্প ইউনিট করার পরিকল্পনা আছে।
বিশ্বে প্রাকৃতিক রবার থেকে প্রায় ৪৬ হাজার পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। বিএফআইডিসির আইনে কাঠ–পণ্যের পাশাপাশি ‘প্রাকৃতিক রবারজাতশিল্প পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত’ করার কথাও বলা আছে। অথচ রবার পণ্য উৎপাদনে কোনো কারখানা করা হয়নি। চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বড় আকারে রবার কারখানা না করলে লাভ হবে না। তাই আমরা এ ধরনের উদ্যোগে যাইনি।’
কক্সবাজারের রামু রবারবাগানের ৩৫ একর জমির ৮ হাজার ৭০০ রবারগাছের চারা কেটে ফেলেছে দখলদারেরা। গত ১০ ও ১১ জুন রাতে গাছগুলো কেটে সেখানে ঘরও বানানো হয়েছে। এ ঘটনায় গত ১২ জুন রামু থানায় মামলা হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
রামু রবারবাগানের ব্যবস্থাপক নন্দী গোপাল রায় প্রথম আলোকে বলেন, বয়স বেড়ে যাওয়ায় ১৯৯৯ ও ২০০০ সালের দিকে প্রায় ৯০০ একর জমির রবারগাছ কাটা হয়েছিল। এরপর অনেক জায়গায় বাগান হয়ে গেলেও প্রায় ৫০ একর জায়গা ফাঁকা ছিল। এর মধ্যে ৩৫ একর জায়গায় রবার চারা লাগালে দুষ্কৃতকারীরা তা কেটে ফেলে।
২০২০-২১ অর্থবছর অনুযায়ী, বনশিল্পে মোট ৫ হাজার ৩২৩ কর্মকর্তা–কর্মচারী আছেন। ২০১৯-২০ অর্থবছরের তথ্য বলছে, প্রধান কার্যালয়ে ১২১ জন কর্মরত ছিলেন। তাঁদের বেতন-ভাতায় খরচ হয় ৯ কোটি ৮ লাখ টাকা। প্রধান কার্যালয়ের কর্মরতরা বছরে জনপ্রতি বেতন-ভাতা নেন গড়ে ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪৮৪ টাকা। এর মধ্যে ১-৫ গ্রেডের ৯ কর্মকর্তা গড়ে ১৪ লাখ ৬ হাজার ৬৬৭ টাকা করে মোট বেতন-ভাতা নেন ২ কোটি ১১ লাখ টাকা। আর ষষ্ঠ থেকে নবম গ্রেডের ১৬ কর্মকর্তা নেন জনপ্রতি ৮ লাখ ৫২ হাজার টাকা করে।
একই বছর বনশিল্পের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ২ হাজার ৯৯৭ কর্মী জনপ্রতি বেতন–ভাতা নিয়েছেন ৯৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় বনশিল্পকে ১৪ বিঘা জমি দিয়েছিলেন। এখনো সেই জমি পড়ে আছে। এর কিছু অংশ বেদখল হয়ে গেছে।
বিএফআইডিসির চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, এই জমি একসনা বন্দোবস্তের। এটি স্থায়ী করতে ভূমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এটি স্থায়ী হলে একটি শিল্প ইউনিট করার পরিকল্পনা আছে।
রাজধানীর মিরপুর–২ নম্বরে বনশিল্পের একমাত্র রবার বিক্রয়কেন্দ্র। এখানে চারটি গুদামে সারা দেশে উৎপাদিত রবার সংরক্ষণ করা হয়। এ রবার বিক্রয়কেন্দ্র ও গুদামের ৮০ শতাংশের মধ্যে সড়ক–সংলগ্ন ৩৩ শতাংশ জায়গায় হবে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয়।
এ জমি হস্তান্তর নিয়ে বিএফআইডিসির কর্মকর্তা–কর্মচারী ও শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। কর্মকর্তারা বলেন, বনশিল্প ও জলবায়ু ট্রাস্ট—দুটি প্রতিষ্ঠানই পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের। মন্ত্রণালয় সেখানে জলবায়ু ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বেদখল ছাড়াও দখল সম্পত্তি রক্ষায়ও হিমশিম খাচ্ছে বনশিল্প। সম্প্রতি চট্টগ্রামের দাঁতমারা রবারবাগানের জমি দখলে বাধা দিতে গিয়ে দুজন কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় মামলা হলেও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন, হবিগঞ্জের বাহুবলের রূপাইছড়া রবারবাগানের প্রায় ২৪ একর জমি ২০০৫ সাল থেকে দখল করে আছেন পুটিজুরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুদ্দত আলী। আরও সাত একরের বেশি জমি দখলের চেষ্টা করছেন। দখল নেওয়া জমির পাহাড় কেটে ফেলছেন। সম্প্রতি বাগানটি সংরক্ষণে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হবিগঞ্জের পরিবেশ আদালত।
অভিযোগ রয়েছে, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার সন্তোষপুর রবারবাগানের কিছু জমিতে চাষাবাদ করছেন প্রভাবশালীরা। গত বছর এ বাগানের রবারগাছের চারা কেটে ফেলা হয়েছিল।
প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এসব ঘটনায় আমরা বসে নেই, তৎপর আছি।’
আইনে বলা আছে, সম্পদ রক্ষার্থে নিজস্ব সশস্ত্র নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োগ বা গঠন করতে পারবে বনশিল্প। সম্পত্তি বেদখল, কর্মীরা মারধরের শিকার হলেও এখনো নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের উদ্যোগ নেয়নি বনশিল্প। উল্টো নিজস্ব নিরাপত্তা প্রহরীর সংখ্যাও কমে গেছে। তাদের বন্দুকের গুলি থানায় জমা দেওয়া আছে।
নিরাপত্তাপ্রহরীর সংখ্যা বাড়ানো ও নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী করার পরিকল্পনা আছে বলে জানান বিএফআইডিসির চেয়ারম্যান।
বনশিল্পের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা বলেছেন, যেনতেনভাবে বনশিল্পের বাগান ও শিল্প ইউনিট চলছে। চেয়ারম্যান হিসেবে যাঁরা আসেন, তাঁরা ভালো কিছু করার উদ্যোগ নেন না। কেউ উদ্যোগ নিলেও বাস্তবায়ন করতে করতে বদলি হয়ে যান, কাজও থেমে যায়।
বাংলাদেশ রবারবাগান মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন বলেন, ‘বনশিল্পের রবারগাছে উৎপাদন কম। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ হাইব্রিড রবার চাষ করছে। তারা যেখানে পাঁচ কেজি কষ পায়, সেখানে আমরা পাই এক কেজি। সেসব হাইব্রিড রবার চারা আনতে পারে রবার উন্নয়ন বোর্ড। দেশের গোটা রবার খাতের এটা অন্যতম প্রধান সংকট।’
কামাল উদ্দিন বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে রবারের দাম ২০১০ সাল থেকে কম। দাম কমলেও শ্রমিক খরচ বেড়েছে। এ ছাড়া সরকারি বাগানে শ্রমিকের ঠিক মতো কাজ করেন না। এসব কারণেও সরকারি রবার খাতে লোকসান হচ্ছে।