নাশকতার অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় হাফসা আক্তারের জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
এর আগে ওই মামলায় ৬ মার্চ হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ রুল দিয়ে হাফসাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে, যা আজ চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম শুনানিতে ছিলেন।
পরে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই মামলায় হাফসাকে দেওয়া জামিন আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। ফলে তিনি কারামুক্তি পাচ্ছেন না।’
নাশকতার অভিযোগে গত ২০ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় ওই মামলা করে পুলিশ। মামলায় গ্রেপ্তারের পর গত বছরের ২৭ নভেম্বর থেকে কারাগারে আছেন হাফসা। এই মামলায় ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিফল হন তিনি। পরে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন, যার শুনানি নিয়ে ৬ মার্চ হাইকোর্ট হাফসাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন।
গত ২৯ নভেম্বর রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘রাজবন্দীদের স্বজন’ ব্যানারে একটি মানববন্ধন হয়। সেদিন মানববন্ধনে আসে হাফসার দুই সন্তান। তাদের বয়স যথাক্রমে চার ও সাত বছর, যার মধ্যে দিয়ে তারা আলোচনায় আসে। হাইকোর্টে তাদের মায়ের জামিন আবেদনের শুনানিতে দুই দিনই দাদির সঙ্গে ওই দুই শিশু আদালতে এসেছিল।
দুই শিশুর বাবা আবদুল হামিদ ভূঁইয়া বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। দুই শিশুর দাদা আবদুল হাই ভূঁইয়া মানববন্ধনে অভিযোগ করে বলেছিলেন, তাঁর বড় ছেলে আবদুল হামিদ ভূঁইয়াকে পুলিশ খুঁজছে। না পেয়ে ছেলের স্ত্রী হাফসাকে তুলে নিয়ে যায়। তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। অথচ হাফসা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন।