পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিক, জাতিসংঘের সাহায্যকর্মী এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অবজ্ঞা করে স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর চলমান হামলার জন্য ইসরায়েলকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জবাবদিহি করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গাজায় চলমান ইসরায়েলি নৃশংসতা ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) কার্যনির্বাহী কমিটির উন্মুক্ত ব্যতিক্রমী বৈঠকে যোগ দিতে জেদ্দায় অবস্থানরত মোমেন ওআইসিকে এ বিষয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বিশেষ বৈঠকের ব্যবস্থা করার জন্য নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গাজার হাসপাতালে বর্বরোচিত বোমা হামলার তীব্র নিন্দা করছি, এটি সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।’ তিনি এ বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন আহ্বানের জন্য গাম্বিয়ার একটি প্রস্তাবকেও সমর্থন করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তা পরিষদকে গাজায় জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সাহায্যকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী এবং সাংবাদিক হত্যার নিন্দা জানাই এবং ইসরায়েলকে তার যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক মানবিক ও মানবাধিকার আইনের প্রতি অসম্মানের জন্য জবাবদিহি করার আহ্বান জানাই।’
ওআইসি জানায়, জরুরিভাবে ডাকা বিশেষ ওআইসি বৈঠকে সদস্যদেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে আগ্রাসন এবং অবনতিশীল মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। সৌদি আরব ওআইসির বর্তমান চেয়ারম্যান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানায় বাংলাদেশ। তিনি বলেন, ‘আমরা গাজার হাসপাতালে বর্বরোচিত বোমা হামলার তীব্র নিন্দা করছি, যা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে গাজায় ইসরায়েল এখন যে অসম যুদ্ধ চালাচ্ছে, তা শুধু অসামঞ্জস্যপূর্ণই নয়, এটি মানবাধিকার ও মানবিক আইনের সব মৌলিক নীতির লঙ্ঘন করে এবং এটি সব ফিলিস্তিনিকে সম্মিলিতভাবে শাস্তি দেওয়ার শামিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা গাজায় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে জরুরি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা হতাশ যে নিরাপত্তা পরিষদ গাজায় মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে ১৬ অক্টোবর রাশিয়ার উত্থাপিত একটি প্রস্তাব গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।’ তিনি ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য অবিলম্বে মানবিক সহায়তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধে এবং স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করতে সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর এবং কাজ করার আহ্বান জানান।