নোয়াখালী পৌরসভা ভবনে হামলা ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ বেলা তিনটায়
নোয়াখালী পৌরসভা ভবনে হামলা ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ বেলা তিনটায়

নোয়াখালী পৌরসভা কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর

নোয়াখালী পৌরসভা কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে এক দল দুর্বৃত্ত। আজ বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।

তখন পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্যাহ খান পৌরসভা কার্যালয়ে ছিলেন না। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁরা এ ধরনের হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন।

পৌরসভার এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, বেলা তিনটার দিকের ঘটনা। সপ্তাহের শেষ দিন হওয়ায় ততক্ষণে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই দিনের কাজ শেষ করে কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন। তিনি কাজ শেষ করে কেবলই বের হচ্ছিলেন। এমন সময় দেখেন ১৫ থেকে ১৬ জনের এক দল কিশোর-তরুণ অতর্কিতে পৌরসভা ভবনের দ্বিতীয় তলায় মেয়রের কক্ষের সামনে ভাঙচুর করছে।

ওই কর্মচারী জানান, হামলাকারীরা মেয়রের কক্ষের দুটি জানালা ও নিচতলার সিঁড়ির পাশের ডিজিটাল সেন্টারের একটি জানালা ভাঙচুর করেন। তাঁরা এ সময় মেয়রকে খোঁজাখুঁজি করেন। তাঁর কক্ষের দরজায় লাথি দিয়ে খোলার চেষ্টা করেন এবং মেয়রের নামফলকও ভেঙে ফেলেন। এ ছাড়া দুটি সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করেন। অল্প কিছু সময়ের মধ্যে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে সরেজমিনে গেলে মেয়রের কক্ষের সামনে ভাঙা জানালার কাচ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় পৌরসভার একাধিক কর্মচারী জানান, হামলাকারীরা শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে এসেছেন। তাঁরা বিএনপির কর্মী-সমর্থক হিসেবে এলাকায় পরিচিত।

মেয়র সহিদ উল্যাহ খান প্রথম আলোকে বলেন, হামলার ঘটনার কিছুক্ষণ আগে তিনি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে ছিলেন। তিনি ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করেছেন।

জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদের অনুসারীরা ওই হামলার ঘটনায় জড়িত।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য হারুনুর রশিদের মুঠোফোনে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, তিনি পৌরসভা কার্যালয়ে হামলার কথা শুনেছেন। পুলিশ পাঠিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নেবেন।