যুবককে পিটিয়ে হত্যা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ ও প্রশাসনের অপসারণ চাইল সাদা দল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য হলটির প্রাধ্যক্ষ ও প্রশাসনের অপসারণ দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী সরকারের ‘চিহ্নিত দোসরদের’ হল প্রশাসনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে দ্রুত অপসারণের দাবিও জানানো হয়েছে।

আজ শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসব দাবি জানায় সাদা দলের শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলে ছিলেন সাদা দলের আহ্বায়ক মো. লুৎফর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান ও আবদুস সালাম, সদস্যসচিব মো. মহিউদ্দিন এবং কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম সরকার।

সাক্ষাৎ শেষে সাদা দলের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফজলুল হক (এফএইচ) মুসলিম হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। তার ঠিক আগে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড কোনো পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার৷ কারণ, ইতিমধ্যেই হত্যাকাণ্ডে জড়িত হিসেবে যাঁদের পরিচয় গণমাধ্যমসহ অন্যান্য সূত্র থেকে জানা গেছে, তাতে ঘটনাটিকে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ভাবার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। শিক্ষকেরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাদা দলের শিক্ষকেরা মনে করেন যে হল প্রশাসন যথাসময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে এ নির্মম হত্যাকাণ্ড এড়ানো সম্ভব হতো৷ শিক্ষকেরা হল প্রশাসনের এই নির্লিপ্ত ভূমিকার নিন্দা জানান। দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও ব্যর্থতার জন্য তাঁরা অবিলম্বে এফএইচ হলের প্রাধ্যক্ষসহ হল প্রশাসনের অপসারণ দাবি করেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের চিহ্নিত দোসরদের হল প্রশাসনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে দ্রুত অপসারণের জন্য উপাচার্যের কাছে জোর দাবি জানানো হয়।

এই সাক্ষাতের সময় দুই সহ-উপাচার্য মামুন আহমেদ ও সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ উপাচার্যের সঙ্গে ছিলেন।