বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে হাজির করা হচ্ছে। আজ দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রাঙ্গণে
বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে হাজির করা হচ্ছে। আজ দুপুরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রাঙ্গণে

রুমায় ব্যাংক ডাকাতি

৫৩ আসামিকে রিমান্ডে নিল পুলিশ

বান্দরবানের রুমায় নতুন সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফের) ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার ৫৩ জনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে ১ নারীকে ১ দিন ও ৫২ জনকে ২ দিন করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ৫৭ আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত ৫৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক ফজলুল হক জানিয়েছেন।

আজ দুপুর ১২টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের মামলার আসামিদের হাজির করা হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হোসাইনের আমলি আদালত পুলিশের রিমান্ড আবেদন এবং আসামিদের জামিন আবেদনের শুনানি করেন।

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) বিশ্বজিৎ সিংহ জানিয়েছেন, আদালত উভয় পক্ষের আবেদন শুনানি শেষে আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করেন। অপর দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের পক্ষে করা রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। রিমান্ড মঞ্জুর আদেশে ২টি মামলায় অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে কারাগারের ফটকে ১ দিন ও ৫২ জনকে ২ দিন করে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য বলা হয়েছে। আদালতে হাজির ৫৭ আসামির মধ্যে ৪ জনকে আরও অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁদের রিমান্ড শুনানি পরবর্তী ধার্য তারিখে হবে বলে নির্ধারণ করা হয়।

২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে কেএনএফ ব্যাংক ডাকাতি করে। একই সময়ে কেএনএফের বন্দুকধারী ডাকাতেরা রুমা সোনালী ব্যাংকের পাহারায় থাকা পুলিশ ও আনসারের ১৪টি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনার পর ৫ এপ্রিল রুমা থানায় পাঁচটি ও থানচি থানায় চারটি—মোট নয়টি মামলা করা হয়েছে।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক ফজলুল হক জানিয়েছেন, রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি এবং পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র লুটের ঘটনার ৯টি মামলায় এ পর্যন্ত ৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।