বিশ্লেষণ

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ: সক্ষমতা নেই, তবু বড় বড় প্রকল্প

১৫ বছরে ১৮ হাজার কোটি টাকার ২৫ প্রকল্প নিয়েছে সংস্থাটি। একটির কাজও সঠিক সময়ে শেষ হয়নি। বাস্তবায়িত হয়নি কোনো আবাসন প্রকল্প। এর খেসারত দিতে হচ্ছে নগরবাসীকে।

উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে সিডিএ নিজেই অপরিকল্পিতভাবে অবকাঠামোগত উন্নয়নে জড়িয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা
ছবি: সৌরভ দাশ

চট্টগ্রাম নগরের খাল ও নালা-নর্দমা খনন এবং তা রক্ষণাবেক্ষণে কোনো ধরনের অভিজ্ঞতা ছিল না চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ)। ছিল না কোনো নির্দিষ্ট বিভাগ ও জনবলও। এরপরও নগরের দীর্ঘদিনের সমস্যা জলাবদ্ধতা দূর করতে ২০১৭ সালে হঠাৎ করে বড় একটি প্রকল্পের কাজ পায় সংস্থাটি।

৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার সেই প্রকল্প হাতে নিয়ে বিপাকে পড়ে সিডিএ। তিন বছরের কাজ ছয় বছরেও শেষ করতে পারেনি। আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে নগরবাসীকে। মানুষ এখনো জলাবদ্ধতায় কষ্ট পাচ্ছে। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে চলতি বছরে অন্তত ১২ বার ডুবেছে চট্টগ্রাম নগর।

আগে জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজটি করত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। ছয় বছর আগে জলাবদ্ধতা নিরসনের মতো কঠিন ও জটিল কাজটি নিজের কাঁধে নেয় সিডিএ। এ নিয়ে দুই সংস্থার মধ্যে দ্বন্দ্ব এখনো দূর হয়নি। শুধু একটি প্রকল্প নয়, ১৫ বছরে ১৮ হাজার কোটি টাকার অন্তত ২৫টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সিডি। অন্যের কাজ কাঁধে নিলেও সিডিএ নিজের মূল দায়িত্বগুলো সঠিকভাবে পালন করতে পারছে না বলে মন্তব্য করেন নগর–পরিকল্পনাবিদ ও বিশেষজ্ঞরা।

চট্টগ্রামকে একটি পরিকল্পিত ও আধুনিক নগর এবং বাসযোগ্য শহর হিসেবে গড়ে তোলার মূল দায়িত্ব সিডিএর। নগরবাসীর জন্য আবাসন নিশ্চিত করার কাজও এ সংস্থার। সিডিএর আরেকটি বড় দায়িত্ব ভূমির ওপর যেকোনো ধরনের অপরিকল্পিত উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ এবং আধুনিক ও আকর্ষণীয় পর্যটন অঞ্চল ও নগর-পরিকল্পনাসংক্রান্ত উন্নয়নমূলক কাজ করা।

সিডিএর গত ১৫ বছরের কার্যক্রম বিশ্লেষণ করে নগর–পরিকল্পনাবিদ ও প্রকৌশলীরা বলছেন, পরিকল্পিত চট্টগ্রাম গড়ার চেয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নে বেশি নজর দিয়েছে সিডিএ। বিশেষ করে উড়ালসড়ক ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ এবং জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের মতো সক্ষমতা এবং দক্ষ জনবল সংস্থাটির কখনোই ছিল না। ফলে প্রকল্প নেওয়া হলেও তা সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। আবার এসব কাজ করতে গিয়ে নকশা অনুযায়ী ইমারত বা ভবন নির্মিত হচ্ছে কি না, তা–ও ঠিকভাবে তদারকি করেনি সংস্থাটি। ফলে অপরিকল্পিত নগরায়ণ রোধ করা যায়নি।

১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত সিডিএর নিয়ন্ত্রিত এলাকা ১ হাজার ১৫২ বর্গকিলোমিটার। সংস্থাটিতে বর্তমানে ৫১৯ পদের বিপরীতে ৩২০ জন কর্মরত।

অনুমোদনেই দায় শেষ, তদারকি নেই

সিডিএর অন্যতম দায়িত্ব ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী ইমারতের (ভবন বা স্থাপনা) নকশা অনুমোদন করা। অবৈধ নির্মাণ রোধ করা। সংস্থাটির অন্যতম মিশন বা অভিলক্ষ্য হচ্ছে পরিকল্পিত নির্মাণ অনুমোদন ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীর জন্য একটি টেকসই বিকশিত ও বাসযোগ্য চট্টগ্রাম নগর গঠন।

সিডিএ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ভবন নির্মাণ করতে গেলে সংস্থাটির কাছ থেকে প্রথমে ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র নিতে হয়। পরে নির্মাণ অনুমোদন বা নকশা নিতে হয়। তবে এসব ছাড়পত্র ও নকশা অনুমোদন পেতে অনেক সময় হয়রানির শিকার হতে হয়। অভিযোগ রয়েছে, সিডিএ নকশা অনুমোদন দিয়ে তাদের দায় শেষ করে। ভবনগুলো নকশার শর্ত অনুযায়ী নির্মিত হয় কি না, তা পরবর্তী সময়ে তদারকি করা হয় না। সংস্থাটির এই গাফিলতির সুযোগে প্রায় ক্ষেত্রে অনুমোদনের শর্ত ভঙ্গ করে ভবন নির্মিত হচ্ছে।

প্রতিবছর গড়ে দুই হাজার নকশা অনুমোদন দেয় সিডিএ। অর্থাৎ বছরে সিডিএ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় গড়ে দুই হাজার স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। তবে এর মধ্যে নগরে কী পরিমাণ স্থাপনা অনুমোদনহীন বা অনুমোদনের শর্ত ভঙ্গ করে নির্মাণ করা হয়েছে, তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান সিডিএর কাছে নেই।

২০০৮ সালে প্রণীত বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) অনুযায়ী, খালের পাড় থেকে ১২ ফুটের মধ্যে কোনো স্থাপনা করা যাবে না। কিন্তু এই নির্দেশনা না মেনে খালের পাড় ঘেঁষে গড়ে উঠেছে ১ হাজার ৮০৪টি স্থাপনা। নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের জন্য এখন এসব স্থাপনা অপসারণ করতে হচ্ছে। এ জন্য স্থাপনার মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ২২৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ সিডিএর তদারকির গাফিলতির মাশুল দিতে হচ্ছে এই অর্থ।

সিডিএ পরিকল্পিত আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য ২০০৫ সালে বাকলিয়ায় কল্পলোক আবাসিক এলাকা প্রকল্প নেয়। ২০১৪ সালে গ্রাহকদের প্লট বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এরপর সেখানে ভবন নির্মাণ শুরু হয়। এখন প্রায় চার শ ভবন নির্মিত হয়েছে। তবে অনেক ভবনের ক্ষেত্রেই নকশা অনুসরণ করা হয়নি। ২০১৯ সালে নকশাবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ করার কারণে ৪০ ভবনমালিককে নোটিশ দিয়েছিল সিডিএ। এরপর চলতি বছরের ১২ মার্চ নকশা না মানায় ১০টি ভবনের একাংশ ভেঙে দেওয়া হয়।

সিডিএর ভারপ্রাপ্ত প্রধান নগর–পরিকল্পনাবিদ কাজী হাসান বিন শামস স্বীকার করেছেন, একসময় ইমারত নির্মাণে নকশা অনুমোদনে বাছবিচার করা হয়নি। আইনের ফাঁকফোকরের সুযোগ নিয়ে ভবন নির্মিত হয়েছে। তবে এখন থেকে কঠোরভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

প্রকল্পে ত্রুটি, কাজ শেষ হয়নি সঠিক সময়ে

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালামকে সিডিএর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর সিডিএ মূল দায়িত্ব পালনের চেয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিকে নজর দেয়। নিতে থাকে একের পর এক প্রকল্প।

২০০৯ থেকে ২০২৩—এই ১৫ বছরে ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে অন্তত ২৫টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সিডিএ। এসব উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে জলাবদ্ধতা, নতুন সড়ক, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, উড়ালসড়ক ও সড়ক সম্প্রসারণ ইত্যাদি। ইতিমধ্যে ১৮টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। কাজ চলছে সাতটির। এই ২৫টি প্রকল্পের কোনোটিই নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি। ফলে প্রকল্পগুলোর ব্যয় বেড়েছে।

বর্তমানে চলমান রয়েছে, এমন প্রকল্পগুলোর একটি হচ্ছে ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। এখনো এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়নি। চারবার প্রকল্প সংশোধন করতে হয়েছে। ৮৫৬ কোটি টাকার এই প্রকল্পের এখন নির্মাণ ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। বিপুল ব্যয়ের পরেও প্রকল্পটি অপূর্ণাঙ্গ রয়ে গেছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ এই প্রকল্পের ‘নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদন’-এ বেশ কিছু সমস্যা চিহ্নিত করেছে। এতে বলা হয়, ফিডার রোড-২, সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস রোড নির্মাণ করা না হলে এলাকাবাসীর যাতায়াতে অসুবিধা হবে। পাশাপাশি প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ সুফল মিলবে না। প্রতিবেদনে সড়কগুলো নির্মাণের সুপারিশও করা হয়।

০ বছর ধরে চলমান থাকা আরেকটি প্রকল্প হচ্ছে বায়েজিদ বোস্তামী সড়কের বাংলাবাজার থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাট পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার সংযোগ সড়ক। ২০১৩ সালে অনুমোদনের সময় প্রকল্প ব্যয় ছিল ১৭২ কোটি টাকা। ২০১৫ সালে কাজ শেষ করার কথা।

কিন্তু এরপর দুই দফা ব্যয় বেড়ে এখন প্রকল্প ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৫৩ কোটি টাকা। তবে শেষ দফায় বর্ধিত ৩৩ কোটি টাকা দিতে রাজি হয়নি সরকার। এই টাকা জনগণের কাছ থেকে টোল হিসেবে আদায় করা হবে। এই সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে ১৬টি পাহাড় কেটেছে সংস্থাটি। এর ফলে স্থানীয় জীববৈচিত্র্য ও আশপাশের বিদ্যমান পাহাড় ঝুঁকিতে রয়েছে।

সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়া তড়িঘড়ি করে নেওয়া হয়েছে জলাবদ্ধতা নিরসন ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ প্রকল্প। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের ত্রুটি নিয়ে একনেক সভায় প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন নতুন করে প্রকল্পটি সংশোধন করতে হয়েছে। ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা। এরপরও প্রকল্পটিতে রাখা হয়নি কোনো জলাধার। কমানো হয়েছে খালের ভেতরে সিল্টট্র্যাপের (বালু–কাদা আটকানোর ফাঁদ) সংখ্যা। অবশ্য এখনো সংশোধিত প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়নি সরকার।

আর লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নকশা অন্তত তিন দফা পরিবর্তন করতে হয়েছে। প্রথমে এটি বিমানবন্দর পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল। পরে পতেঙ্গা পর্যন্ত যায়। আর বন্দর এলাকায় সড়কের বাইরে নির্মাণ করার কথা ছিল। পরে আবার বিদ্যমান সড়কের মাঝখানে করা হয়। আর লালখান বাজার এলাকায়ও নকশা সংশোধন করতে হয়েছে।

এ ছাড়া সিডিএ নগরের মূল সড়কখ্যাত সিডিএ অ্যাভিনিউ, শেখ মুজিব সড়ক ও বিমানবন্দর সড়কের ওপর দুটি উড়ালসড়ক নির্মাণ করেছে। নির্মাণাধীন রয়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এসব স্থাপনার কারণে নগরে এখন মেট্রোরেল নির্মাণে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। অথচ সড়ক পরিবহনবিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বারবার এসব উড়ালসড়ক নির্মাণ না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সিডিএ সেই পরামর্শ শোনেনি।

উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে সিডিএ নিজেই অপরিকল্পিতভাবে অবকাঠামোগত উন্নয়নে জড়িয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সাবেক চেয়ারম্যান ও টিআইবির সাবেক জাতীয় পর্ষদ সদস্য দেলোয়ার মজুমদার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য যে ধরনের অবকাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রস্তুতি থাকা দরকার, তা সিডিএর ছিল না। তাই যেসব প্রকল্প নিয়েছিল, সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে, আবার বাস্তবায়নের সময় কী ধরনের প্রতিবন্ধকতা বা সমস্যা তৈরি হতে পারে, তার বিষয়ে আগাম কোনো পরিকল্পনা করতে পারেনি। এই ঘাটতিগুলো নিয়ে কাজ শুরু করলে সংকট দেখা দেয়। এসব সংকট দূর করতে গিয়ে প্রকল্পের মেয়াদ যেমন বেড়েছে, তেমনি খরচও বেড়েছে। আবার ঠিক সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় মানুষও সুফল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

আবাসনে নজর নেই

সিডিএর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের একটি ছিল পরিকল্পিত আবাসন নিশ্চিত করা। কিন্তু ২০০৫ সালের পর থেকে আর কোনো আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেনি সিডিএ। ২০১৭ সালে অনন্যা আবাসিক এলাকা দ্বিতীয় পর্যায় নামের একটি প্রকল্প নিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সে প্রকল্প বাস্তবায়ন থেকে সরে এসেছে সংস্থাটি। যদিও এই প্রকল্পের আওতায় বিদেশ সফর করেছিলেন সংস্থা ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

প্রতিষ্ঠার পর সিডিএ প্রথম আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে ১৯৬৩ সালে কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকায়। এরপর আরও ১১টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছিল। তবে ১৯৯৫ সালে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাশে কর্ণফুলী আবাসিক এলাকা এবং ২০০৫ সালে নেওয়া অনন্যা আবাসিক এলাকায় এখনো কোনো ভবন নির্মিত হয়নি। ন্যূনতম নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত না হওয়ায় এসব আবাসিক এলাকায় ভবন নির্মাণ করতে পারছেন না প্লটের মালিকেরা।

পরিকল্পিত নগরায়ণের ক্ষেত্রে সিডিএর যে ধরনের ভূমিকা পালন করার কথা ছিল, তা করেনি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান।

তিনি বলেন, এই দায়িত্ব পালনের চেয়ে জলাবদ্ধতা প্রকল্প, উড়ালসড়ক, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও ফ্ল্যাট নির্মাণের মতো অবকাঠামোগত উন্নয়নে বেশি মনোযোগ দিয়েছে সংস্থাটি। এগুলো অন্য সংস্থার কাজ। সিডিএর এমন ভূমিকার কারণে নগরের মানুষকে ভুগতে হচ্ছে।