মালয়েশিয়ায় যেতে উড়োজাহাজের টিকিট ছাড়াই হাজারো মানুষ শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ভিড় করেছেন
মালয়েশিয়ায় যেতে উড়োজাহাজের টিকিট ছাড়াই হাজারো মানুষ শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ভিড় করেছেন

মালয়েশিয়ায় কর্মীপ্রতি সিন্ডিকেট ফি ছিল ১ লাখ ৫২ হাজার টাকা

মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে নতুন করে সিন্ডিকেট বা চক্র গঠনের সুযোগ না দিয়ে সবার জন্য উন্মুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) সদস্যরা। তাঁরা অভিযোগ করেন, মালয়েশিয়ায় পাঠাতে কর্মীপ্রতি সিন্ডিকেট ফি ছিল ১ লাখ ৫২ হাজার টাকা। এ কারণে কর্মীদের অতিরিক্ত টাকা খরচ করে মালয়েশিয়ায় যেতে হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেন বায়রার সদস্যরা। এতে বলা হয়, সিন্ডিকেটের কারণে ৯৫ শতাংশ রিক্রুটিং এজেন্সি বৈষম্যের শিকার হয়েছে। দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে ৫০ হাজার কর্মী যেতে পারেননি। এর মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ করেও মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি ১৭ হাজার কর্মী।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সিন্ডিকেটের মূল হোতা বায়রার সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন ওরফে স্বপন। সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের নিয়ে এই সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলেন তিনি। এর মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ, নিজাম হাজারী ও লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন মহির নাম উঠে এসেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বায়রার যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম। এ সময় বায়রার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রিয়াজ উল ইসলাম বক্তব্য দেন। লিখিত বক্তব্যে আট দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, সিন্ডিকেটের মূল হোতা রুহুল আমিনসহ সিন্ডিকেটের পরিকল্পনাকারী, বাস্তবায়নকারী, নিয়ন্ত্রণকারী আওয়ামী লীগ সরকারে জড়িত মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। কোনোভাবেই সাবেক স্বৈরাচারী সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।

দাবির মধ্যে আরও আছে বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়া সরকারের বাছাই করার সুযোগ বাতিল করতে হবে। রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি সিলেকশন করবে নিয়োগকর্তা। সব এজেন্সি কম খরচে বা বিনা খরচে কর্মী পাঠানোর জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সেন্ট্রাল অনলাইন পদ্ধতিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সিন্ডিকেটের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে নির্দিষ্ট সময়ে যেসব কর্মী যেতে পারেননি, তাঁদের কম খরচে সিন্ডিকেটমুক্তভাবে পুনরায় মালয়েশিয়ায় পাঠানোর দাবি জানানো হয়েছে।