নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, মানুষের নিরাপদ খাদ্য পেতে প্রাণীর অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মানুষের খাদ্য প্রাণীর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। উপজেলা পরিষদের হলরুমে পোলট্রি, গবাদিপশু ও মৎস্য খামারিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সামাজিকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যা খাই সবজি, ফল বা মাছ-মাংস এর মধ্যে থেকে যাওয়া অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে আমাদের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হয়ে গেছে। যার ফলে রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হলেও তা আর কাজ করছে না।’
ফরিদা আখতার বলেন, খামারিরা কোম্পানি থেকে মাছ-মুরগির খাবার না কিনে নিজেরা খাবার উৎপাদনে গুরুত্বারোপ করলে এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দপ্তর যেকোনো প্রয়োজনে খামারিদের পাশে থাকবে।
খামারিরা মুরগির খাবার ও মুরগির বাচ্চার মূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে অবহিত করলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা স্বাধীন খামারি হবেন, কন্ট্রাক্ট খামারি হবেন না। কন্ট্রাক্ট ফার্মিং–এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো ব্যবসা করে যাচ্ছে। তারা লাভবান হচ্ছে; কিন্তু প্রকৃত খামারিরা লাভবান হচ্ছে না।’
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, অবৈধভাবে নদী-নালা-খাল-বিল দখলদারদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। খাল-বিল বাঁচাতে প্রয়োজনে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
ফরিদা আখতার আরও বলেন, নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে পোলট্রি শিল্প গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। এর ফলে নারীরা অনেক ক্ষেত্রেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
দেলদুয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তফা আবদুল্লাহ আল-নূরের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন টাঙ্গাইল জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলাম।
এ সময় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাসহ ৫০ জন প্রাণিসম্পদ খামারি ও ৪০ জন মৎস্য খামারি উপস্থিত ছিলেন।