দেশের বিভিন্ন জেলায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বন্যা ব্যবস্থাপনা ও বন্যার্তদের সর্বাত্মক সহায়তায় সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যরা উপদ্রুত জেলায় যাবেন। তাঁরা বন্যার্তদের সহায়তার বিষয়টি তদারক করবেন। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও পুনর্বাসনের পূর্ণ ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে নজরদারি চালিয়ে যাবে সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সভায় সভাপতিত্ব করেন। পরে যমুনার সামনে সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও বক্তব্য দেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারে কী করণীয়, ভুক্তভোগীদের জন্য কী করা হবে এবং কীভাবে সমন্বয় করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, তাঁরা শুনছেন উজানেও অনেক বৃষ্টি হয়েছে এবং বাংলাদেশের বন্যাকবলিত জেলাগুলোতেও বৃষ্টি হয়েছে। এই ধরনের হঠাৎ বন্যার ক্ষেত্রে কী ধরনের আগাম সতর্কতা পাওয়া যায়, ভবিষ্যতে এই ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে রাষ্ট্রগুলো কীভাবে কাজ করতে পারে, সে বিষয়ে কথা বলতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ বৃহস্পতিবার ভারতের হাইকমিশনারের একটি বৈঠক হবে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের কাছে জানতে চাওয়া হবে, এই বন্যার কারণটি।
পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়, বন্যা পরিস্থিতিতে কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে উপদেষ্টা পরিষদের সভায়। মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থাগুলো বন্যা ব্যবস্থাপনা ও বন্যার্তদের সর্বাত্মক সহায়তায় সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করবে। এ ছাড়া বন্যা–পরবর্তী পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার জন্য সব মন্ত্রণালয় এবং বিভাগগুলো সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করবে।