উপরে (বাঁ থেকে) আনিসুল হক ও আসাদুজ্জামান খান; নিচে বাঁ থেকে হাছান মাহমুদ ও তাজুল ইসলাম। এঁদের বাইরে আরও কয়েকজনের আগামীকাল মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য ফোন পাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে
উপরে (বাঁ থেকে) আনিসুল হক ও আসাদুজ্জামান খান; নিচে বাঁ থেকে হাছান মাহমুদ ও তাজুল ইসলাম। এঁদের বাইরে আরও কয়েকজনের আগামীকাল মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য ফোন পাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে

মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে ফোন পেয়েছেন যাঁরা

নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়ার শপথ নিতে ফোন পেয়েছেন বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, আসাদুজ্জামান খান, তাজুল ইসলাম, হাছান মাহমুদ, দীপু মনি, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, নসরুল হামিদ, ফরহাদ হোসেন ও মহিবুল হাসান চৌধুরী।

মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিতে আরও ফোন পেয়েছেন ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। আজ বুধবার সন্ধ্যায় তাঁরা প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বর্তমান মন্ত্রিসভায় আনিসুল হক আইন মন্ত্রণালয়, আসাদুজ্জামান খান স্বরাষ্ট্র, তাজুল ইসলাম স্থানীয় সরকার, হাছান মাহমুদ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং দীপু মনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নৌ প্রতিমন্ত্রী এবং ফরহাদ হোসেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বর্তমান মন্ত্রিসভায় আছেন। আর মহিবুল হাসান চৌধুরী রয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী হিসেবে।

নতুন মন্ত্রিসভায় তাঁদের কী পদ দেওয়া হবে, তা জানা যাবে দপ্তর বণ্টনের পর।

নতুন মন্ত্রিসভা আগামীকাল বৃহস্পতিবার শপথ নেবে। সন্ধ্যা সাতটায় বঙ্গভবনে শপথ অনুষ্ঠান হবে। এ জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

তারই অংশ হিসেবে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের জন্য প্রাথমিকভাবে ৪০টি গাড়ি হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত করেছে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর। পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও পাঁচটি গাড়ি প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যাতে চাওয়ামাত্রই দেওয়া যায়।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ২৫ মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রী ছিলেন।

তফসিল ঘোষণার পর টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য নন এমন) দুজন মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী পদত্যাগ করেন। তাঁরা হলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম।

এরপর এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি আরও তিনজন প্রতিমন্ত্রী। তাঁরা হলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। তাঁরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেননি।

মন্ত্রিসভার বাকি সবাই সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন প্রতিমন্ত্রী এবারের নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন। তাঁরা হলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।

ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন না পাওয়া এবং নির্বাচনে পরাজিত হওয়া ছয়জন প্রতিমন্ত্রী নতুন মন্ত্রিসভায় থাকছেন না বলেই অনেকে ধরে নিয়েছেন।