এ বছর বাংলা একাডেমির ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ পেয়েছেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী ও শিল্পী লাইসা আহমদ। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাঁদের এ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।
রবীন্দ্র গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য ভীষ্মদেব চৌধুরী ও রবীন্দ্রসংগীতচর্চায় বিশেষ অবদানের জন্য লাইসা আহমদকে এ পদক দেওয়া হলো। আজ বুধবার বিকেলে বাংলা একাডেমির ড. এনামুল হক ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাঁদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে ভীষ্মদেব চৌধুরী বলেন, আবেদন না করলেও বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ নিজেদের বিবেচনায় এ পুরস্কার দিয়েছে। তাই এ সম্মান আরও অনেক বেশি আনন্দের। আর লাইসা আহমদ বলেন, ‘১৩ বছর বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সদস্য হয়েছি। সংগীতে হাতেখড়ি হয়েছে বাবা মফিজউদ্দীন আহমদের কাছ থেকে। গোলাম মুরশিদ, ওস্তাদ অমরেশ রায় চৌধুরী, ওস্তাদ রবিউল হুসেন, সংগীতগুরু ওয়াহিদুল হক ও সন্জীদা খাতুনের মতো গুণীজনদের কাছে আমি ঋণী।’
সম্মাননা প্রদানের আগে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। একক আলোচনা পর্বে নাট্যসারথি ও রবীন্দ্র–গবেষক আতাউর রহমান বলেন, ‘শান্তিনিকেতন তৈরির সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমেরিকায় দ্বারে দ্বারে ঘুরেছিলেন। সেটা তাঁর অসীম ধৈর্যের পরিচয়। তিনি নিজেই বলেছিলেন, আর কিছু টিকে না থাকলেও তাঁর গান টিকে থাকবে।’
স্বাগত বক্তব্যে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ না থাকলে “সোনার বাংলা” শব্দটি পাওয়া যেত না। রবীন্দ্রনাথ যে মনের ধর্ম পালন করেছিলেন, সেই অনুভব থেকেই উঠে আসে সোনার বাংলা শব্দটি।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। অনুষ্ঠান শুরু হয় রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। ‘সোনার তরী’ কবিতাটি পাঠ করেন আবৃত্তিশিল্পী শিমুল মুস্তাফা। রূপা চক্রবর্তীর কণ্ঠে পঠিত হয় ‘দুই পাখি’ কবিতাটি।