তানজিলা আক্তার তাঁর সদ্য বিয়ে হওয়া মেয়েকে নিয়ে বাসে ঢাকার হাজারীবাগ থেকে কুমিল্লায় ফিরছিলেন। তানজিলার পাশের আসনে বসেছিল ১১ বছরের সন্তান সাঈদ মিয়া। হাজারীবাগে বিজিবি ১ নম্বর গেটে পৌঁছার পর সাঈদ জানালা দিয়ে মাথা বের করে রাখে। ঠিক এ সময় পেছন থেকে আসা আরেকটি কাভার্ড ভ্যান বাসটি ওভারটেক করার সময় শিশু সাঈদের মাথায় ঘষা লাগে। এতেই সাঈদ মারা যায়। বুধবার সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সাঈদ কুমিল্লার একটি বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত।
পরিবার সূত্র জানায়, সাঈদ তাঁর মা-বাবার সঙ্গে কুমিল্লার হোমনা উপজেলার রামকৃষ্ণপুরে থাকত। তার বাবা খলিল মিয়া। গত সোমবার সাঈদের বড় বোন খাদিজা আক্তারের হাজারীবাগে বিয়ে হয়। বুধবার হাজারীবাগে খাদিজার বউভাতের অনুষ্ঠানে দাওয়াতে আসেন সাঈদের মা-বাবাসহ স্বজনেরা। অনুষ্ঠান শেষে স্বজনেরা হাজারীবাগ থেকে খাদিজাকে বাসে নিয়ে কুমিল্লায় রওনা দেন। খাদিজার ছোট ভাই সাঈদ তাদের মায়ের পাশের আসনে বসেছিল। এ সময় সাঈদ বাসের জানালা দিয়ে মাথা বের করে রাখে।
সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বাসটি বিজিবি ১ নম্বর গেটে পৌঁছার পর পেছন থেকে একটি কাভার্ড ভ্যান বাসটি ওভারটেক করার সময় সাঈদের মাথায় প্রচণ্ডভাবে ঘষা লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে সাঈদুল হক ভূঁইয়া বলেন, সাঈদ বাসের জানালা দিয়ে মাথা বের করে রেখেছিল। এ সময় বাসটি ঘোরানোর সময় মাথায় আঘাত লেগে সে মারা যায়। মা-বাবার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাঈদের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের জন্য হস্তান্তর করা হবে।