যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আছে, এমন দেশগুলোতে মৌলিক স্বাধীনতা ও মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ–সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এ কথা বলেন।
ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নকারী বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিয়ে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে দুই ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্যের উদ্বেগ জানানোর প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর সহিংসতা হচ্ছে উল্লেখ করে তাঁরা উদ্বেগ জানিয়েছেন এবং এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য তাঁদের সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কূটনৈতিক ও নীতিগত কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা আছে কি না, তা জানতে চান প্রশ্নকারী।
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘যেসব দেশের সরকারের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আছে, তাদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান একই রকম—মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা স্পষ্ট করে বলি।’
বেদান্ত প্যাটেল মনে করেন, যেকোনো ধরনের বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ হতে হবে। যেকোনো ধরনের ধরপাকড়ের ক্ষেত্রে সরকারকে আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে, মৌলিক মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে।
এসব ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে দেশগুলোর প্রতি জোর দিয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন বেদান্ত প্যাটেল।
বাংলাদেশে গ্রেপ্তার সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তার নিয়েও ব্রিফিংয়ে একটি প্রশ্ন করা হয়। এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার বিস্তারিত জানা নেই। তবে আবারও বলছি, আমরা এ ব্যাপারে বরাবরই জোর দিয়ে আসছি যে যাঁরা আটক থাকবেন, তাঁদের পক্ষ থেকেও যথাযথ প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে। এবং তাঁদের মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’