মেট্রোরেল চলবে আগামীকাল রোববার থেকে। মিরপুর–১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে আপাতত মেট্রোট্রেন থামবে না। এই দুটি স্টেশনে যাত্রীসেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
আজ শনিবার বিকেলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে নতুন নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী মেট্রোরেল চলার কথা জানায়।
ডিএমটিসিএলের জনসংযোগের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া আজ বেলা ১টার কিছু আগে প্রথম আলোকে বলেন, রোববার থেকে মেট্রোরেল চলবে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি চলছে। তিনি বলেন, মেট্রোরেল পরিচালনাকারী দলের সঙ্গে ডিএমটিসিএলের বৈঠক চলছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজ বিকেলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
কোটা সংস্কার ঘিরে আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করা হলে ওই দিন বিকেল পাঁচটায় মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর পরদিন মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর করা হয়।
নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ১১ আগস্ট উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ১৭ আগস্ট থেকে মেট্রোরেল চালু হবে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল স্বাভাবিক নিয়মে চলাচল করবে। তবে মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে আপাতত ট্রেন থামবে না। কারণ, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় এ দুটি স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অবশ্য এরপর ১৫ আগস্ট ডিএমটিসিএল সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১৭ আগস্ট থেকে মেট্রোরেল চালু সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান। এতে বলা হয়, অনিবার্য কারণে প্রয়োজনীয় কারিগরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখনো শুরু করা সম্ভব হয়নি।
ডিএমটিসিএলের সূত্র সম্প্রতি জানা গেছে, লাইন, কোচ ও সংকেতব্যবস্থা—মেট্রোরেলের সবই ঠিক আছে। এরপরও মেট্রোরেল চালু না হওয়ার কারণ ছিল নিচের দিকের কর্মীদের কর্মবিরতি। বড় কর্মকর্তারা বাড়তি সুবিধা নিচ্ছেন, এমন অভিযোগ এনে কর্মবিরতিতে যান মেট্রোরেলের কর্মচারীরা। এ জন্যই কারিগরি কোনো সমস্যা না থাকার পরও মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে, কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনার পর তাঁদের দাবি পূরণের বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
১৮ আগস্ট সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান সাত দিনের মধ্যে মেট্রোরেল চলাচল শুরুর আশ্বাস দেন। মেট্রোরেলের কর্মচারীরা ২০ আগস্ট থেকে কাজে যোগ দিয়েছেন।