বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে জাতিসংঘের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। গতকাল সোমবার জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র এ কথা বলেছেন।
গতকাল জাতিসংঘ মহাসচিবের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, তারা বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দল পাঠাবে না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল তাদের সুপারিশে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে। ভয়েস অব আমেরিকার ইংরেজি সংস্করণের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার সব উপায়ে বিরোধীদের ওপর আক্রমণ করে যাচ্ছে। প্রশ্ন হলো, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবস্থান জানা গেছে। তাহলে বর্তমান নিপীড়নমূলক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বিষয়ে জাতিসংঘের সর্বশেষ অবস্থান কী?
জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, তাঁদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাঁরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চান। তাঁরা এমন একটি পরিবেশ দেখতে চান, যেখানে মানুষ প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই যেকোনো পক্ষে কথা বলতে পারবে।
স্টিফেন ডুজারিক আরও বলেন, সংস্থা থেকে ম্যান্ডেট না পেলে জাতিসংঘ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে না।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার সমাধানসহ একটি বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্থবহ সংলাপে বসতে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল। বাংলাদেশে মিশন শেষে গত শনিবার ওয়াশিংটন থেকে প্রচারিত মার্কিন প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশসহ নির্বাচনপূর্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় গত জুলাইয়ে বাংলাদেশ সফর করেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গত মাসে ইইউ এই সিদ্ধান্ত জানায়।