ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত

দুই মামলা থেকে জামায়াত, হেফাজত ও বিএনপির ৬২ নেতাকে অব্যাহতির আবেদন

১১ বছর আগে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পল্টন থানায় পৃথক দুটি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ। প্রতিবেদনে জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম ও বিএনপির ৬২ জন নেতাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।

সম্প্রতি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

একটি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালের ৫ মে বায়তুল মোকাররম এলাকায় অনেক দোকানে আগুন দেওয়া হয়। এর মধ্যে সোনার দোকান ছিল সাতটি। পাশাপাশি বায়তুল মোকাররম এলাকায় ভাসমান ২০০ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর মালামালে আগুন দেওয়া হয়। তবে এসব ঘটনায় যাদের গ্রেপ্তার (বর্তমানে জামিনে আছে) করা হয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। এ জন্য তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে আবেদন জানানো হচ্ছে।

পল্টন থানার অপর মামলায়ও চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়ে একই ধরনের তথ্য আদালতকে জানিয়েছে পুলিশ।

মামলা দুটি থেকে যাঁদের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম মাসুদ, হামিদুর রহমান আজাদ; হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব মাওলানা জুনাইদ বাবুনগরী (২০২১ সালে মারা গেছেন), মাওলানা নূর হোসেন কাসেমী, মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক, মাওলানা ফয়জুল্লাহ এবং বিএনপির হাবিব উন নবী খান সোহেল, সুলতান সালাউদ্দিন, মীর সরাফত আলী সপু, আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, সাইফুল আলম নীরব প্রমুখ।