সাভারে তিতাস গ্যাসের কার্যালয় ঘেরাও করে গ্রাহকদের বিক্ষোভ

গ্যাস সংকটে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা তিতাসের সাভারের আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন। রোববার বেলা ১১টার দিকে
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার সাভারে গ্যাস–সংকটে ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সেখানকার আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন। এতে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা অংশ নেন। পরে তিতাসের কর্মকর্তারা এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে তাঁরা সেখান থেকে চলে যান।

বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা জানান, আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পানপাড়া, নয়াপাড়া, দত্তপাড়া, ভাওয়ালিয়া পাড়াসহ প্রায় সাত-আটটি এলাকার দুই শতাধিক গ্রাহক সাভারের শিমুলতলা এলাকায় তিতাসের আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। পরে তাঁরা কার্যালয়ের ফটকের সামনে ও চত্বরে অবস্থান নিয়ে গ্যাসের চলমান সংকট সমাধানের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।

পরে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মাসুদ রানার নেতৃত্বে কয়েকজন তিতাসের আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু ছালেহ মুহাম্মদ খাদেমুদ্দীনের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তিতাস কর্মকর্তা এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে তাঁরা সেখান থেকে চলে যান।

মাসুদ রানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রায় চার বছর ধরে গ্যাসের চরম সংকটের মধ্যে রয়েছে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার গ্রাহক। তিতাসের কর্মকর্তাদের বারবার বলেও কোনো সমাধান আমরা পাচ্ছি না। রাতে একটু গ্যাস পেলেও দিনের বেলায় একদমই গ্যাস পাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়ে আমরা তিতাসের কার্যালয় ঘেরাও ও বিক্ষোভ করেছি। আমাদের এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।’

সারা দেশেই গ্যাসের স্বল্পতা রয়েছে উল্লেখ করে তিতাসের সাভার আঞ্চলিক কার্যালয়ের বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু ছালেহ মুহাম্মদ খাদেমুদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্যাসের মূল উৎসস্থল থেকে অর্থাৎ আমাদের যে সোর্স লাইন রয়েছে, সেটির একদম শেষ প্রান্তে রয়েছে সাভার ও মানিকগঞ্জ। এর ফলে সাভার উপজেলা ও মানিকগঞ্জ জেলার গ্রাহকেরা সবচেয়ে বেশি গ্যাস–সংকটে পড়ছেন। মূলত যাঁরা বিক্ষোভ করেছেন, তাঁরা চাহিদার তুলনায় গ্যাস কম পাচ্ছেন। গ্যাস না পেলে তাঁরা দাবি জানাবেন এটাই স্বাভাবিক। তাঁদের বলেছি, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদেরও সক্ষমতা অনুসারে তাঁদের সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।’