দোকান বন্ধ রেখে মেলার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ-সমাবেশ। বৃহস্পতিবার সকালে নোয়াখালী শহরের মাইজদীতে
দোকান বন্ধ রেখে মেলার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ-সমাবেশ। বৃহস্পতিবার সকালে নোয়াখালী শহরের মাইজদীতে

নোয়াখালীতে দোকান বন্ধ রেখে মেলার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ-সমাবেশ

যত্রতত্র মেলার আয়োজনের বিরুদ্ধে দোকান বন্ধ রেখে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন নোয়াখালী শহরের ব্যবসায়ীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তাঁরা নোয়াখালী সুপারমার্কেটের সামনে এবং শহরের প্রধান সড়কে এ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় ব্যবসায়ীরা যত্রতত্র মেলার আয়োজন বন্ধে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করা হয়।

কর্মসূচি পালন উপলক্ষে সকালে জেলা শহর মাইজদীর নোয়াখালী সুপারমার্কেটসহ বিভিন্ন বিপণিবিতান এবং শহরের প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত দোকানের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রেখে সুপারমার্কেটের সামনে জড়ো হন। তাঁরা সেখানে প্রায় আধা ঘণ্টা মানববন্ধন করেন। পরে ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। কর্মসূচিতে দোকানের কর্মচারীরাও অংশগ্রহণ করেন।

নোয়াখালী সুপারমার্কেটের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম ওরফে সুজন বলেন, শহরের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রতিবছরই বিজয় মেলা হয়ে আসছে। কিন্তু গত কয়েক বছর ওই মেলা শেষ হতে না হতে শহরের বালুর মাঠে মাসব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়। সামনে পবিত্র রমজান মাস। এখন প্রতিটি দোকানের বেচাকেনার সময়। এই সময় মেলার আয়োজন করা হলে স্থায়ী ব্যবসায়ীদের পথে বসতে হবে। তাই প্রশাসনের কাছে তাঁদের দাবি, বালুর মাঠে যেন মেলার অনুমতি দেওয়া না হয়।

আন্দোলনরত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ডিসেম্বরে জেলা শহর মাইজদীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা। মেলাটি দুই সপ্তাহ চলার কথা থাকলেও চলে পুরো মাস। এতে শহরের বিপণিবিতানগুলোর ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। বিজয় মেলা শেষ না হতেই পুনরায় জেলা শহরের হাউজিং বালুর মাঠে শিল্প ও বাণিজ্য মেলার নামে আরেকটি মেলা আয়োজনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এভাবে একের পর এক মেলা আয়োজনের কারণে প্রতিবছরই শহরের ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছেন। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে গিয়েও অনেক সময় তাঁদের হিমশিম খেতে হয়।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন। সেখানে বক্তব্য রাখেন বণিক সমিতির সভাপতি এ কে এম ছায়েফ উদ্দিন, নোয়াখালী সুপারমার্কেটের সভাপতি একরাম উল্যাহ, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। পরে ব্যবসায়ী নেতারা জেলা প্রশাসক, পৌরসভার মেয়র, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে তাঁদের দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি দেন।