প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরার সময় বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল আওয়ামী লীগ। তবে তাতে সম্মতি দেননি প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ রোববার ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখা ও ঢাকার আশপাশের জেলা শাখা এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে তাতে রাজি হননি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ অক্টোবর দেশে ফিরবেন। ওই দিন ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা নেয় আওয়ামী লীগ। নেতা-কর্মীরা সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিয়ে, ফুল ছিটিয়ে এবং হাত নাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানাবেন বলে কথা ছিল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মহামারির কারণে প্রধানমন্ত্রীর অনেকগুলো বিদেশ সফরের পরেও তাঁকে তাঁর প্রাপ্য সংবর্ধনা দিতে পারিনি। তিনি অনেকগুলো আন্তর্জাতিক পদ পেয়েছেন, অনেক জায়গায় বিশেষভাবে সংবর্ধিত হয়েছেন।’ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে সম্মান বয়ে এনেছেন, সে জন্য সংবর্ধনা তাঁকে দেওয়া উচিত।
বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো সংবর্ধনা নিতে রাজি নন। তিনি পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, রাস্তা বন্ধ করে, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে সংবর্ধনা নেওয়ার ইচ্ছে তাঁর নেই। কাজেই এ প্রোগ্রামটা বাদ দিতে হবে। তাঁর সম্মতি নেই, তাই আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
জাতিসংঘের ৭৮ তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। শনিবার তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুক্তরাজ্যে গেছেন। ৪ অক্টোবর দুপুরে তাঁর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।