চট্টগ্রাম নগরের দামপাড়ায় পুলিশ লাইনসের সামনে মানুষের ভিড়। বিকেল সাড়ে চারটায়
চট্টগ্রাম নগরের দামপাড়ায় পুলিশ লাইনসের সামনে মানুষের ভিড়। বিকেল সাড়ে চারটায়

চট্টগ্রামে কারাগার ও পুলিশ লাইনসে হামলার চেষ্টা

চট্টগ্রাম নগরের লালদীঘির পাড়ে কেন্দ্রীয় কারাগার ও দামপাড়ায় পুলিশ লাইনসে হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে এ হামলার চেষ্টা করা হয়। তবে পুলিশ ও কারারক্ষীরা হামলা প্রতিরোধ করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করেন মানুষ। এর মধ্যে একটি মিছিল থেকে লোকজন আজ বিকেল পাঁচটার দিকে দামপাড়া পুলিশ লাইনসে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁরা মুক্তিযুদ্ধ পুলিশ জাদুঘরে হামলা চালান। সড়কের পাশে থাকা কাচের ম্যুরাল ভেঙে ফেলেন। পুলিশ সদস্যরা আগে থেকে পুলিশ লাইনসের ভেতর অবস্থান করছিলেন।

পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন মিছিলে থাকা লোকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট, ছররা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। তবে তাতেও পিছু হটেননি আন্দোলনকারীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, দামপাড়া পুলিশ লাইনসের মূল ফটক ঘিরে ধরেছেন কয়েক শ আন্দোলনকারী। সড়কে অবস্থান নিয়েছেন আরও কয়েক হাজার আন্দোলনকারী। পুরো এলাকায় কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়া। পুলিশ দফায় দফায় কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এতে আন্দোলনকারীরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন।

এদিকে আজ বিকেল পাঁচটায় নগরের লালদীঘির পাড়ে অবস্থিত চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে হামলার চেষ্টা করেন মানুষ। প্রধান ফটকের বাইরে হাজারো মানুষ অবস্থান নিয়ে কারাগারে হামলার চেষ্টা চালান। এ সময় কারাগারের ভেতর থেকে ফাঁকা গুলি ছুড়ে হামলা থেকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন কারারক্ষীরা। সন্ধ্যা ছয়টায়ও কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান করছিলেন হাজারো মানুষ।

চট্টগ্রাম জেল সুপার মো. মনজুর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারের ভেতরে থাকা কারাবন্দীদের শান্ত রাখার চেষ্টা করছেন। আর ফটকের বাইরে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়ে আছেন।

বর্তমানে কারাগারে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেপ্তার হওয়া নতুন এক হাজারসহ সাড়ে পাঁচ হাজার বন্দী রয়েছেন।