ভারতের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা। আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আনন্দ সমাবেশ ও শোভাযাত্রার আয়োজন করেন তাঁরা।
১৯৫৮ সালের ২০ জুন ভারতের ওডিশায় জন্ম নেওয়া সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর সদস্য দ্রৌপদী মুর্মু বিজেপির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) জোটের প্রার্থী ছিলেন। এই প্রথম ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কোনো সদস্য ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন। আগামী সোমবার তিনি ভারতের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেবেন।
আনন্দ সমাবেশে অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, দ্রৌপদী মুর্মুর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় নিপীড়িত, বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের জন্য এটি আনন্দের দিন। এটা নিঃসন্দেহে রাষ্ট্রের আইনপ্রণেতা ও পরিচালকদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে ভূমিকা রাখবে।
সমাবেশে সাঁওতাল জাতিগোষ্ঠীর পক্ষে কথা বলেন এনাস হাঁসদা। তিনি বলেন, ‘মনোনয়নের দিন থেকেই আনন্দে ছিলাম। সাঁওতাল হিসেবে এটা আমাদের জন্য আনন্দ আর গর্বের। আমাদের অনুরোধ, তিনি যেন বাংলাদেশে আসেন এবং আমাদের দেখে যান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন তাঁকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।’
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, ভারতের ৭০ বছরের গণতন্ত্রের ইতিহাসে প্রথম একজন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর (সাঁওতাল) নারী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন। ভারত, বাংলাদেশ, এমনকি সারা পৃথিবীর জন্য এটি ভালো খবর। বাংলাদেশে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের জন্য এটি গর্বের বিষয়।
আনন্দ সমাবেশের একপর্যায়ে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষেরা সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন। শেষে আনন্দ শোভাযাত্রা হয়। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব হেমন্ত হেনরী কুবি, জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউজিন নকরেক, ঢাকা ওয়ানগালা উদ্যাপন কমিটির সাবেক প্রধান (নকমা) শুভজিৎ সাংমা, সাংবাদিক নিখিল মানখিনসহ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।