জনস্বাস্থ্যবিদ, পুষ্টিবিদ ও শিশুস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অভিযোগ করেছেন, বন্যাকবলিত এলাকায় খাদ্য ও ত্রাণের সময় শিশুস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্য বিতরণ করা হচ্ছে। এতে আইন লঙ্ঘনের পাশাপাশি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। দুর্যোগের সময় শিশুদের খাদ্য সম্পর্কে অতিরিক্ত সতর্কতা জরুরি।
আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জনস্বাস্থ্যবিদ, পুষ্টিবিদ ও শিশুস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেছেন। বিবৃতিতে সই করেছেন জনস্বাস্থ্য পুষ্টিবিদ মো. মহসীন আলী, ফারিয়া শবনম, সায়কা সিরাজ, আসফিয়া আজিম প্রমুখ।
বিবৃতিদাতারা বলেছেন, তাঁরা পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লক্ষ করেছেন যে বন্যাকবলিত এলাকায় গুঁড়া দুধ, রাসায়নিকযুক্ত তরল ও গুঁড়া খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। তাঁরা আরও বলেছেন, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য কৃত্রিম দুধ, গুঁড়া দুধ, শিল্পজাত পণ্য, চিনিযুক্ত পণ্য বিতরণের ক্ষেত্রে আইনি নিষেধাজ্ঞা আছে। দুর্যোগের সময় শিশুখাদ্য বিতরণে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করতে হয়। কিন্তু বন্যাকবলিত এলাকায় তা করা হচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, খরচ কমাতে অনেক পরিবারে ফর্মুলা দুধ পাতলা করে তৈরি করা হয়। এতে শিশুর অপুষ্টি বেড়ে যায়। বিস্কুট, কেক, চিপস বা ইনস্ট্যান্ট নুডলসে কোনো পুষ্টিগুণ নেই। এসব খাবারে অতিরিক্ত লবণ থাকে, আবার কিছু খাবারে প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিন বা খনিজ থাকে না। এসব খাবার পেট ভরায়, কিন্তু পুষ্টি নিশ্চিত করে না।
বিবৃতিদাতারা কিছু সুপারিশ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি শিশুদের জন্য এমন খাবার নির্বাচন করতে হবে, যা অল্প পরিমাণে হলেও ন্যূনতম পুষ্টি নিশ্চিত করতে পারে। ছয় মাসের বেশি বয়সী শিশুদের চিড়া, বাদাম, খেজুর, খিচুড়ি, ডাল বা সুজির মতো খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।