ব্রুনেইয়ের সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়াহ মুইজ্জাদ্দিন ওয়াদদৌল্লাহকে উপহার হিসেবে পাঠানো হয়েছে ১৫টি ছাগল। শুধু ছাগল নয়, সুলতানকে এক জোড়া চিত্রল হরিণ, এক জোড়া ময়ূর এবং এক জোড়া ময়না উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ। এগুলো ব্রুনেইতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশের খাসির মাংসের বিষয়ে ব্রুনেইয়ের আগ্রহের কারণে প্রজননের জন্য ওই ১৫টি ছাগল উপহার দেওয়া হয়েছে। ব্রুনেইয়ের সুলতানকে ছাগল উপহারের বিষয়টিকে ‘কৃষি কূটনীতির’ অংশ হিসেবে অভিহিত করে কয়েকজন কূটনীতিক এ প্রতিবেদককে বলেছেন, হুট করেই উপহারের বিষয়টি আসেনি। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের খাসির মাংস খাওয়ার পর এর স্বাদ নিয়ে প্রশংসা করেন ব্রুনেইয়ের সুলতান। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ শুরু হয়। এবারের সফরে সব প্রস্তুতি শেষ করে উপহার হিসেবে তা ব্রুনেইতে পাঠানো হয়েছে।
গত রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছাগল ওনার (ব্রুনেই সুলতানের) খুব পছন্দ। উনি যাওয়ার সময় আমরা কিছু (ছাগল) দিয়ে দেব।’
গত শনিবার বাংলাদেশ সফরের প্রথম দিনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গভবনে ব্রুনেইয়ের সুলতানের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেন। কূটনৈতিক সূত্র বলছে, ওই নৈশভোজের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমসহ কয়েকজন মিলে সুলতান ও তাঁর সফরসঙ্গীদের পুরান ঢাকার কাচ্চি বিরিয়ানি দিয়ে আতিথেয়তা বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেন। আলোচনার একপর্যায়ে যুক্ত হয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ব্রুনেইয়ের সুলতান ও তাঁর সফরসঙ্গীদের জন্য বিশেষভাবে রান্না করা কাচ্চি পরিবেশনের প্রস্তাব দেন।
পরদিন অর্থাৎ গত রোববার দুপুরে ব্রুনেইয়ের সুলতান ও তাঁর সফরসঙ্গীরা কেরানীগঞ্জে রান্না করা কাচ্চি বিরিয়ানি দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছেন। ওই দিন দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথিদের মধ্যাহ্নভোজের তালিকায় আরও ছিল মুরগির রোস্ট, মিঠাইওয়ালার মিষ্টি আর দই।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার পর থেকেই উপাদেয় খাবারটির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন ব্রুনেইয়ের উচ্চপদস্থ লোকজন। এমনকি কালিজিরা আর বাসমতি চালের মধ্যে কোন ধরনের কাচ্চির স্বাদটা বেশি, সেটি নিয়েও তাঁরা কথা বলেছেন। এর পাশাপাশি কাচ্চি বিরিয়ানিতে আলু আছে কি নেই, সেটি নিয়েও তাঁরা আলোচনা করেন। সম্প্রতি ঢাকা সফরের সময় ব্রুনেইয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এরিওয়ান পেহিন ইউসুফ কাচ্চি বিরিয়ানিতে আলু আছে কি না, তা খুঁজছিলেন।