এইচএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষার কাজে গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এসেছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির এক ছাত্রী। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘিরে সাম্প্রতিক কিছু ‘অঘটনের’ বিষয়ে সে প্রথম আলোকে বলল, এসবে তার খারাপ লাগে। কিন্তু করার কী আছে! যারা এসব করে, তারা তো আর এসব বোঝে না!
একই দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সামনে কথা হয় এক অভিভাবকের সঙ্গে। ওই মা বললেন, তাঁর এক সন্তান এই বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। আরেক সন্তান এখান থেকে এসএসসি পাস করে বেরিয়ে গেছে।
আগে প্রতিষ্ঠানটির পড়াশোনার মান ভালো ছিল। কিন্তু এখন আগের চেয়ে মান খারাপ হয়েছে বলে তাঁর কাছে মনে হচ্ছে।
আর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বললেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অবস্থা এখন ভেতরে-ভেতরে ভালো নেই।
বেশ কয়েক বছর ধরে বিদ্যালয়টি ঘিরে একের পর এক বিতর্কিত ঘটনা ও নানা অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের অনেকেরই উপলব্ধি এখন এমনই। তাঁরা বলছেন, এসব বিতর্কিত কাণ্ডে সুনাম হারাচ্ছে একসময়ের ‘নামকরা’ এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
একসময় বিদ্যালয়টি ঘিরে ‘ভর্তি–বাণিজ্য’ ছিল সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। কিন্তু ২০২১ সাল থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরুর পর এই অভিযোগের ব্যাপকতা কমে গেছে।
যদিও একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। এ ছাড়া শিক্ষকদের ‘প্রাইভেট-কোচিং বাণিজ্য’ অনেকটা স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এসব ছাড়িয়ে পরিচালনা কমিটির এক সদস্যের ‘অনৈতিক কাজ’ প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি অনেকটাই ক্ষুণ্ন করেছে। এক ছাত্রীর বাবা পরিচালনা কমিটির ওই সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন। মামলায় প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে ওই সদস্য ও অধ্যক্ষ পদত্যাগ করেছেন।
একসময় বিদ্যালয়টি ঘিরে ‘ভর্তি-বাণিজ্য’ ছিল সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। কিন্তু ২০২১ সাল থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরুর পর এই অভিযোগের ব্যাপকতা কমে গেছে। যদিও একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। এ ছাড়া শিক্ষকদের ‘প্রাইভেট-কোচিং বাণিজ্য’ অনেকটা স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এসব ছাড়িয়ে পরিচালনা কমিটির এক সদস্যের ‘অনৈতিক কাজ’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি অনেকটাই ক্ষুণ্ন করেছে।
এ পটভূমিতে বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক (সামাজিক বিজ্ঞান) মাকসুদা আক্তারের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ মামলা করেছে। তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এ শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যালয়টির নানা অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)। ডিআইএর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, তদন্ত প্রায় শেষ। এখন প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে।
ভর্তি নিয়ে যত অভিযোগ
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে সন্তানদের ভর্তি নিয়ে অভিভাবকদের ব্যাপক আগ্রহ আছে। অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে পড়ার আকাঙ্ক্ষা আছে।
২০১২ সাল থেকে পরের বছরগুলোর তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দু-এক বছর বাদে প্রায় প্রতিবছরই এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। তবে সরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) তথ্য বলছে, সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় অবৈধ ভর্তি হয়েছিল ২০১৬ সালে। ওই বছর স্কুলপর্যায়ে ভর্তির চাহিদা ছিল ৪ হাজার ৭৮০ শিক্ষার্থীর। কিন্তু এর বাইরে আরও ১ হাজার ৯৮১ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়। এর আগে ২০১৩ সালেও দেড় হাজারের বেশি অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছিল। আর ২০১২ সালে বিভিন্ন শ্রেণিতে ১ হাজার ৫৫০ অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছিল বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) এক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল।
অভিযোগ আছে, এসব অতিরিক্ত ভর্তির কিছু হয় ‘নানা পর্যায়ের’ তদবিরে। বাকি অংশের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আছে অর্থের লেনদেন। একসময় বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির একাধিক সদস্যের ‘লাভের’ জায়গা ছিল এই অবৈধ ভর্তি।
গত বছরের ২৪ মার্চ রাজধানীর শাহজাহানপুরে গুলি করে হত্যা করা হয় আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলামকে (টিপু)। এ সময় কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিনও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। মতিঝিল এলাকার আধিপত্য, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও প্রতিহিংসার জেরে জাহিদুলকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তবে এমন আলোচনাও আছে, আইডিয়াল বিদ্যালয়কেন্দ্রিক ‘স্বার্থের দ্বন্দ্ব’ও এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে কাজ করেছে। জাহিদুল হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে আইডিয়াল স্কুলের পরিচালনার কমিটির এক সদস্যের নামও রয়েছে, যিনি ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা।
অবশ্য ২০২১ সাল থেকে সারা দেশে সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে। ফলে আগের মতো আর এত অবৈধ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ নেই। যদিও ২০২১ ও ২০২২ সালেও অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করার অভিযোগ রয়েছে, যদিও সংখ্যায় তা অল্প।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষক প্রথম আলোকে বলেন, ভর্তির অভিযোগ কমলেও এখন নানামুখী কাজের মাধ্যমে লাভবান হচ্ছে পরিচালনা কমিটির সঙ্গে যুক্ত একটি পক্ষ।
বিদ্যালয়কেন্দ্রিক একটি সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ডায়েরি ও ক্যালেন্ডার ছাপানোর নামে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয়টির সহকারী প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান খানের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান ৯ অক্টোবর আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সে বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছেন। এতে বলা হয়, গত ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লিফট স্থাপন করার কথা ছিল, এখনো হয়নি। লিফট প্রদানকারী কোম্পানির সঙ্গে যে চুক্তি করা হয়েছে, তা অতি দুর্বল। লিফটের সব কাজ আতিকুর রহমানের ওপর ন্যস্ত ছিল, কিন্তু তিনি বড় অঙ্কের দর প্রাক্কলন করে বিদ্যালয়ের আর্থিক ক্ষতি করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে কাজে দেরি করেছেন। চাহিদা মোতাবেক অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা না পাওয়ার কারণে কাজে দেরির বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ ধরনের দায়িত্বহীন কাজের ফলে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টিসহ প্রতিষ্ঠানের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নিয়ে যেসব কথা শোনা যাচ্ছে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়।অধ্যাপক তাসলিমা বেগম, সাবেক চেয়ারম্যান, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিষ্ঠানটির সাবেক এক শিক্ষক আক্ষেপ করে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি আর ওপরের দিকে উঠবে বলে মনে হয় না।
অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ঘটনাগুলো বিদ্যালয়টির সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করছে। এখনই যদি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে সামনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’
বারবার আলোচনায় অধ্যক্ষেরা
বিভিন্ন সময়ে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। সাবেক এক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন)। কিন্তু সদ্য পদত্যাগ করা অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা যেন অনেকটা ‘রক্ষক হয়ে ভক্ষকের’ মতোই।
মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য (দাতা সদস্য) খন্দকার মুশতাক আহমেদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির এক ছাত্রীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগে করেন ছাত্রীটির বাবা। এ নিয়ে মামলাও করেন তিনি। তবে খন্দকার মুশতাক ওই ছাত্রীটিকে বিয়ে করেছেন বলে জানা যায়। এ নিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা মনে করেন, এটি স্বাভাবিক বিয়ে নয়। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির একজন শিক্ষক প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, এ ঘটনার পর ওই ছাত্রীকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (টিসি) দেওয়া হয়েছে। কারণ, নীতিমালা অনুযায়ী, বিবাহিত শিক্ষার্থীরা এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে পারে না।
এ মামলায় অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর বিরুদ্ধে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়। মামলার পর অধ্যক্ষ দুই সপ্তাহের ছুটি নিয়েছিলেন, পরে আবার কাজে যোগ দেন। চলতি অক্টোবর মাসের ৩০ অক্টোবর তাঁর অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগে ৭ অক্টোবর তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে।
আর এ ঘটনার পর পরিচালনা পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেন খন্দকার মুশতাক। আলোচনা আছে, একসময় খন্দকার মুশতাকের সহপাঠী ছিলেন ফাওজিয়া রাশেদী।
ফাওজিয়া রাশেদী পদত্যাগের পর তাঁর স্থলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পেয়েছেন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান।
জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি আশা করছেন, এসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ডকে ওভারকাম করে (উত্তরণ ঘটিয়ে) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারবেন।
ভালো শিক্ষক ও অধ্যক্ষ নিয়োগের পরামর্শ
মতিঝিল এজিবি কলোনির বাসিন্দাদের উদ্যোগে ১৯৬৫ সালে মতিঝিলে ‘আইডিয়াল স্কুল’ নামে প্রথমে প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তর চালু হয়। এখন মতিঝিলের মূল ক্যাম্পাস ছাড়াও রাজধানীর বনশ্রী ও মুগদায় শাখা ক্যাম্পাসে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।
এর মধ্যে অবশ্য মুগদার শাখা ক্যাম্পাস সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই চালু করায় বেশ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। যদিও পরে সরকারের উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপে বিষয়টির সমাধান হয়। সব কটি শাখা মিলে এখন মোট শিক্ষার্থী প্রায় ২৮ হাজার। শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন ৭০০–এর বেশি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল এখনো বেশ ভালো। এবার এই বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল ২ হাজার ৬৩৯ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ২ হাজার ৬৩০ জন। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৬৯ জন।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান তাসলিমা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নিয়ে যেসব কথা শোনা যাচ্ছে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
ভালো শিক্ষক ও অধ্যক্ষ নিয়োগের পরামর্শ দিয়ে অধ্যাপক তাসলিম বেগম বলেন, আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পরিচালনা কমিটিতে যাঁরা আসবেন, তাঁরা এই প্রতিষ্ঠান থেকে কোনোভাবেই লাভবান হবেন না, এমন একটি ব্যবস্থা থাকতে হবে। আর শিক্ষা বিভাগেরও দায়িত্ব হলো সাধ্যের মধ্যে থেকে তদারক করা।