মাথায় ইট পড়ে মারা যাওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক দীপু সানা
মাথায় ইট পড়ে মারা যাওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক দীপু সানা

পুলিশের ধারণা

উড়ালসড়ক থেকে পড়া ইটের আঘাতেই মৃত্যু ব্যাংকার সানার

ব্যাংক কর্মকর্তা দীপু সানা (৩৭) উড়ালসড়ক থেকে পড়া ইটের আঘাতে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কেউ দীপু সানাকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়েছেন, এমন তথ্য পাওয়া যায়নি।

দীপু সানা বাংলাদেশ ব্যাংকের সদরঘাট শাখার সহকারী পরিচালক ছিলেন। গত বুধবার বিকেলে কর্মস্থল থেকে অফিসের বাসে রওনা দিয়ে শান্তিনগরে নামেন তিনি। এরপর হেঁটে মগবাজারের গাবতলার বাসায় ফিরছিলেন। একপর্যায়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মৌচাক মার্কেটসংলগ্ন ফখরুদ্দীন পার্টি সেন্টারের সামনে মাথায় ইট পড়ে মারা যান।

পুলিশের রমনা অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার সালমান ফার্সী গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থলের ওপর মালিবাগ-মগবাজার উড়ালসড়ক। পাশে রয়েছে ফখরুদ্দিন পার্টি সেন্টার ও সিদ্ধেশ্বরী কলেজের বহুতল ভবন। দীপু সানাকে লক্ষ্য করে কেউ ইট ছুড়েছেন, এমন তথ্য তদন্তে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, উড়ালসড়কের ওপর থেকে পড়া ইটের আঘাতে তিনি মারা গেছেন।

দীপু সানার মৃত্যুর ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা। রমনা থানায় মামলাটি করেছেন দীপুর স্বামী তরুণ কুমার বিশ্বাস। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী। স্ত্রী অকালমৃত্যুতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি।

তরুণ কুমার কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রথম আলোকে বলেন, তিন বছরের ছেলে ঋষি রাজকে এখন তিনি কীভাবে বড় করবেন? তিনি আরও বলেন, তিনি হত্যা মামলা করলেও, কারা ইট ছুড়ে মেরেছেন, তা জানেন না। পুলিশের তদন্তে যা আসে, তা–ই মেনে নেবেন তিনি।

দীপু সানার বাড়ি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা গ্রামে। তাঁর পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, ২০১৭ সালে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগ দিয়েছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেন।