বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের অগ্রভাগ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে। ঝড়ের কেন্দ্র মধ্যরাত নাগাদ উপকূল অতিক্রম করবে বলে ধারণা করছেন আবহাওয়াবিদেরা। ঝড়ের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে চট্টগ্রামে বিপৎসংকেত বাড়িয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ সোমবার রাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম এবং এর অদূরে থাকা দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া দপ্তর।
আবহাওয়া দপ্তর থেকে সোমবার রাতে দেওয়া সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং রাত ৯টার দিকে ভোলার কাছ দিয়ে বরিশাল–চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। পরবর্তী ৩–৪ ঘণ্টার মধ্যে ঝড়টি উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর এখন বিক্ষুব্ধ।
আবহাওয়া অফিস বলেছে, চট্টগ্রাম এবং এ এলাকায় থাকা দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী বৃষ্টিসহ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮৮ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তবে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কক্সবাজারের অদূরের দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ নম্বর বিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।
এ ছাড়া মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, খুলনা, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী এবং এসব জেলার অদূরে দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।
এদিকে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফরিদপুর, ঢাকা, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত নদীবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর নৌ বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।