অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জাতীয় সংলাপ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে সদ্য নিবন্ধন পাওয়া রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)। দলটির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী এ প্রস্তাব করেন।
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চত্বরে শুক্রবার বিকেলে আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন বিএসপির চেয়ারম্যান। সংবিধান অনুযায়ী অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচির আয়োজন করে বিএসপি। বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলে সমাবেশ।
নিবন্ধন পাওয়ার পর চট্টগ্রামে দলটির দ্বিতীয় সমাবেশ এটি। এর আগে ঢাকায় ২২ জুলাই প্রথম সমাবেশ করে। সমাবেশে বিএসপির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী বলেন, বর্তমান সংবিধানের আলোকে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নির্বাচন কমিশনকে ঠুঁটো জগন্নাথের ভূমিকায় না রেখে কার্যত স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে হবে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জাতীয় সংলাপ আয়োজনেরও প্রস্তাব করেন তিনি।
সমাবেশে উপস্থিত বেশির ভাগেরই মাথায় ছিল লাল টুপি ও দলের লোগো দিয়ে তৈরি গেঞ্জি। হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। নারী কর্মীদের উপস্থিতিও ছিল বেশ।
সমাবেশে বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্য জোটের (একাংশ) চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী ও বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল সামাদ বক্তব্য দেন। তাঁরা সুপ্রিম পার্টিকে সমর্থন জানিয়ে তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
ইসলামী ঐক্য জোটের (একাংশ) চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। আমেরিকার চেয়েও দেশ অনেক স্থিতিশীল।
এদিকে আগামী সংসদ নির্বাচনে ষড়যন্ত্রকারীরা নির্বাচন বর্জন করলেও সুপ্রিম পার্টি, কৃষক শ্রমিক পার্টি অংশগ্রহণ করবে বলে জানান কৃষক শ্রমিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল সামাদ।
চট্টগ্রাম জেলা সুপ্রিম পার্টির সভাপতি এস এম সাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলটির কো-চেয়ারম্যান কাজী মহসীন চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আজাদ দোভাষ, চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, স্থায়ী পরিষদের সদস্য আবুল কালাম আজাদ, ইব্রাহিম মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।