দিনাজপুরের বিরামপুরে থানাসহ বিভিন্ন স্থানে আগুন দেয় জনতা
দিনাজপুরের বিরামপুরে থানাসহ বিভিন্ন স্থানে আগুন দেয় জনতা

দিনাজপুরে জনতার কাছে ওসির ক্ষমা চেয়ে থানা রক্ষা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর পেয়ে শিক্ষার্থী ও জনতা বিজয় মিছিল করেছেন। আজ সোমবার বিকেলে তাঁরা মিছিল করেন। এ সময় তাঁরা বিরামপুর থানা ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন।

বিক্ষুব্ধ জনতাকে রুখতে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এতে একজন সংবাদকর্মীসহ ১১ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৭ জন বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। চারজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁরা বিরামপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এ সংবাদ পেয়ে বিকেল সোয়া ৫টা দিকে উত্তেজিত জনতা থানা ঘেরাও করেন। এ সময় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার ক্ষমা চেয়ে আত্মসমর্পণ করলে উত্তেজিত জনতা থানা ছেড়ে যান। একই সময়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা বিরামপুর শহর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দলীয় কার্যালয় ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেন।

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র জামিল হোসেনের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। এ সময় আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সোহরাব হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ হোসেনের বাড়িতে ভাঙচুর করেন আন্দোলনকারীরা। এ ছাড়া হাকিমপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আগুন দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবরে নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়েও আগুন দিয়েছেন জনতা। এ সময় জনতা নবাবগঞ্জ বণিক সমিতি সভাপতি ও আওয়ামী লীগের কর্মী মতিবুর রহমানের দলীয় কার্যালয় ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল ইসলামের বাড়ি ভাঙচুর করেন।