তাপমাত্রা বাড়ার প্রেক্ষাপটে পরিবেশ রক্ষায় গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে শিক্ষক, সমাজকর্মী ও পরিবেশবিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ রোববার রিটটি দাখিল করা হয়েছে। রিটের ওপর কাল সোমবার শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
‘২০৪৪ গাছ কাটার সিদ্ধান্ত বন বিভাগের, যশোর রোড উন্নয়ন কমিটির প্রতিবাদ’ শিরোনামে ২ মে প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ‘যশোরে ২ হাজারের বেশি গাছ কাটার দরপত্র বন বিভাগের’ শিরোনামে অপর একটি দৈনিকে ৪ মে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে তিন আইনজীবী আজ ওই রিট করেন।
রিটে পরিবেশ রক্ষায় গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে ঢাকাসহ সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলাদা করে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে বলে জানান রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকায় গাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সমাজকর্মী ও পরিবেশবিজ্ঞানী সমন্বয়ে কমিটি গঠন করতে পরিবেশ সচিবের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ঢাকায় গাছ কাটতে হলে এই কমিটির অনুমতি নিতে হবে। একইভাবে প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলাদা করে এ ধরনের কমিটি গঠনের জন্য জনপ্রশাসনসচিবের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনের ভাষ্য, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য ঢাকায় যে পরিমাণ গাছপালা থাকা দরকার, তা দিন দিন কমছে। সম্প্রতি তাপমাত্রা বাড়ার কারণে মানুষের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠছে, যে কারণে সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। সামাজিক বনায়ন চুক্তিতে সারা দেশে লাগানো গাছগুলো কেটে ফেলার কারণে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে, যা বন্ধ না হলে দেশের পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে ও মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।