ফ্লাইট এক্সপার্টের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সালমান বিন রশিদ শাহ সাইম ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। বাংলাদেশে বাণিজ্য খাতে নেতৃত্ব ও উন্নয়নকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁর এই দায়িত্ব গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গত রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ৬৩তম বার্ষিক সাধারণ সভায় সালমান বিন রশিদ ও নবনির্বাচিত অন্য পরিচালকেরা ২০২৫-২৭ মেয়াদে তাঁদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নবনির্বাচিত অন্য পরিচালকেরা হলেন এনামুল হক পাটওয়ারী, মো. মোস্তফা কামাল, মিনহাজ আহমেদ, মোহাম্মদ জমশের আলী ও রাশেদ মাইমুনুল ইসলাম। একই সভায় তাসকীন আহমেদ ২০২৫ সালের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন এবং রাজীব এইচ চৌধুরী ও মো. সালিম সুলেমান যথাক্রমে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
বর্তমানে দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে ডিসিসিআই মুদ্রাস্ফীতির চাপকে চিহ্নিত করেছে। এই সমস্যা মোকাবিলায় সংগঠনটি সময়োপযোগী মুদ্রানীতি প্রণয়নের পাশাপাশি স্বচ্ছ ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করা ও ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠনে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধিতে ডিসিসিআই সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে, যা দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য অত্যাবশ্যক।
ডিসিসিআইয়ের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ব্যবসাবান্ধব অবকাঠামো তৈরি, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের ভূমিকা বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো ও চলতি হিসাবের ভারসাম্য উন্নত করার বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাচ্ছে। এই লক্ষ্য পূরণে বন্দর ও কাস্টমস কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশন, লজিস্টিক সুবিধা উন্নয়ন এবং কাস্টমস ও ফরওয়ার্ডিং (সিএন্ডএফ) এজেন্টদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণসহ একাধিক উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়েছে। এসব পদক্ষেপ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং একটি স্থিতিশীল ও সুবিধাজনক ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরি করবে।
নতুন দায়িত্ব প্রসঙ্গে সালমান বিন রশিদ শাহ সাইম বলেন, ‘ডিসিসিআইয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করা একটি বড় সম্মানের বিষয়, বিশেষত এমন একটি সময়ে যখন দেশ ও ব্যবসায়িক খাত পরিবর্তনের মাহেন্দ্রক্ষণে রয়েছে। ২০২৫ সাল ডিসিসিআইয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর। কারণ, সার্বিক পরিস্থিতিতে দেশের বড় বড় সব ব্যবসায়িক অ্যাসোসিয়েশন ও চেম্বারে সংস্কার চলছে।’
সালমান বিন রশিদ শাহ সাইম আরও বলেন, ‘রেমিট্যান্স আমাদের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তবে দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি ব্যবসায়িক সম্প্রদায়। এ পরিপ্রেক্ষিতে একটি সমৃদ্ধ ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের অগ্রাধিকার। ডিসিসিআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ এ লক্ষ্য পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায়িক খাতের সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে, সেগুলো মোকাবিলায় ডিসিসিআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’