কক্সবাজার, সুন্দরবনসহ আকর্ষণীয় অনেক পর্যটনকেন্দ্র থাকার পরও পর্যটনশিল্পে পৃথিবীর অন্যদের তুলনায় দেশ অনেক পিছিয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার, সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন, রয়েছে টাঙ্গুয়ার হাওরসহ দেশের অসংখ্য হাওর-নদী-নালা-খাল-বিল ও নানা প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ পর্যটনকেন্দ্র। এরপরও বিশ্বে পর্যটনশিল্পে বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতে। স্বাধীনতার পর ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের পর্যটনশিল্প এগোয়নি। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় এখনো আমরা পিছিয়ে।
বিদেশি পর্যটক আগমনের তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্বের কোন দেশ পর্যটনে কেমন করছে, তার র্যাঙ্কিং করে মুন্ডি ইনডেক্স। তাদের তথ্য অনুযায়ী, পর্যটনশিল্পে বিশ্বের ১৮৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪১তম, আর এশিয়ার ৪৬টি দেশের মধ্যে ৪২তম। মুন্ডি র্যাঙ্কিংয়ে দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের মধ্যে ছয়টি স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ।
বিদেশি পর্যটক আকর্ষণ দূরে থাক, দেশের পর্যটকদের ধরে রাখতে পারছে না পর্যটন সংস্থাগুলো। বিবিএসের জরিপ অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরেই ২৯ লাখ ২১ হাজার ৫২০ বাংলাদেশি পর্যটক বিদেশে গেছেন। তাঁদের ৬০ ভাগের বেশি গেছেন ভারতে। এ ছাড়া সৌদি আরব (৮.১২%), মালয়েশিয়া (৪.৫৭%), থাইল্যান্ড, দুবাই, আফ্রিকা, নেপাল, তুরস্কে গেছেন তাঁরা। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৮৬৮ মিলিয়ন টাকা।
দেশের পর্যটনশিল্পকে এগিয়ে নিতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (বাপক) ও বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড (বিটিবি) কাজ করে থাকে।
পর্যটনশিল্প পিছিয়ে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিমানে আমরা রুজি করি, বেতন দিই ও বিমান কিনি। অনেকের ধারণা, সরকারি টাকা দিয়ে আমরা বিমান কিনি, পর্যটনকে দিই না। এটি ভুল ধারণা। পর্যটনেও আমরা রুজি করেই বেতন দিই। আরও কীভাবে ভালো করা যায়, সেই চেষ্টা করছি।’
বিটিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের প্রথম আলোকে বলেন, এত দিন মৌলিক চাহিদার ওপর সরকারের মূল ফোকাস করতে হয়েছে। এখন পর্যটনশিল্পকে একটু ফোকাসের মধ্যে আনা হচ্ছে।
১৯৭২ সালে জাহাজ চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় নামে একটি মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়। তিন দফা ভাঙাগড়ার পর ১৯৮৬ সাল থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়।
জাতীয় পর্যটন সংস্থা (এনওটি) হিসেবে বাপক ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে। বাপক ভেঙে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে বিটিবি গঠন করা হয়। গঠনের পর এনওটির স্ট্যাটাস বিটিবিকে দেয় মন্ত্রণালয়। দুটি প্রতিষ্ঠানের কাজও ঠিক করে দেওয়া আছে। কিন্তু পর্যটনশিল্পের বর্তমান অবস্থার কারণে তাদের কাজ ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পর্যটন উন্নয়নে অভ্যন্তরীণ পর্যটন অবকাঠামো সৃষ্টি; দেশে-বিদেশে পর্যটনের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি; পর্যটন উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ; সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে পর্যটনশিল্পের সম্প্রসারণ; পর্যটকদের জন্য হোটেল, রেস্তোরাঁ, রেস্টহাউস, পিকনিক স্পট, ক্যাম্পিং সাইট, থিয়েটার, বিনোদন পার্ক ইত্যাদি পরিচালনাসহ ১৪টি কর্মপরিধি রয়েছে বাপকের।
একইভাবে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সহায়তা; পর্যটন আকর্ষণ চিহ্নিত; দেশে পর্যটকদের আগমন ও অবস্থান সহজ ও নিরাপদ করা; দেশে-বিদেশে বিপণনের বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষাসহ বিটিবির ১৩টি কর্মপরিধি রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের কাজ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে, সে বিষয়ে জানতে পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আলি কদরের সঙ্গে কথা বলতে কয়েক দিন গিয়েও তাঁকে কার্যালয়ে পাওয়া যায়নি। একাধিকবার ফোন করলেও ধরেননি। মুঠোফোনে খুদে বার্তা এবং ই-মেইলে প্রশ্ন পাঠালেও উত্তর দেননি।
মন্ত্রণালয়ের দুটি পর্যটন সংস্থায় লোকবল আছে, ব্যয়ও হচ্ছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের তথ্য অনুযায়ী, মজুরি ভিত্তিতে কর্মরত জনবলসহ বাপকে ৮৫০ ও বিটিবিতে ২৯ জন কাজ করেন। এই অর্থবছরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য কর্মকাণ্ডে বাপকের ৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা ও বিটিবির প্রায় ৩৩ কোটি টাকা খরচ হয়।
আগারগাঁওয়ে বেশ কয়েক দিন বাপক কার্যালয়ে গিয়ে কিছু কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। আবার যাঁরা আছেন, তাঁদের কাজ নেই, অনেকে অলস সময় কাটাচ্ছেন।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সাবেক প্রথম সহসভাপতি ও জার্নি প্লাসের পরিচালক তৌফিক রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বাপক ও বিটিবিতে পর্যাপ্ত জনবল আছে। অর্থ খরচ করে করপোরেশন ও বোর্ডে দক্ষ লোকবল তৈরি করা হলেও তাঁদের ক্ষমতায়ন করা হচ্ছে না। তাঁদের মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চলতে হয়।
মুন্ডি ইনডেক্সের তথ্য বলছে, ১৯৯৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দুই যুগে ৫২ লাখের কিছু বেশি বিদেশি পর্যটক দেশে এসেছেন। অথচ মুন্ডির র্যাঙ্কিংয়ের ৩৩ নম্বরে থাকা দেশ চিলিতে শুধু ২০১৯ সালে বিদেশি পর্যটক গেছেন ৫৪ লাখের বেশি। আর প্রথম স্থানে থাকা ফ্রান্সে করোনার বছর ২০২০ সালে বিদেশি পর্যটক গেছেন প্রায় ১২ কোটি।
মুন্ডি ইনডেক্সের তথ্য বলছে, ১৯৯৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ২০০৮ সালে দেশে সবচেয়ে বেশি ৪ লাখ ৬৭ হাজার বিদেশি পর্যটক এসেছেন। পরের বছর ২০০৯ সালে বিদেশি পর্যটক দুই লাখ কমে যায়। এরপর সর্বোচ্চ বিদেশি পর্যটক আসেন ২০১৯ সালে, ৩ লাখ ২৩ হাজার।
পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশে সুন্দরবন, কক্সবাজার ও সেন্ট মার্টিনে সবচেয়ে বেশি বিদেশি পর্যটক যান।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৭-১৮ থেকে ২০১৯-২০ পর্যন্ত তিন অর্থবছরে সুন্দরবনে মাত্র ৭ হাজার ৫৪৫ বিদেশি পর্যটক এসেছেন। করোনার কারণে ২০২০-২১ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে পর্যটক কমে যায়, মাত্র ১ হাজার ৪১৬ বিদেশি আসেন।
কক্সবাজার বা সেন্ট মার্টিনে কী পরিমাণ বিদেশি পর্যটক যান, তার সঠিক কোনো তথ্য নেই। তবে সেন্ট মার্টিন বিশেষজ্ঞ ও সমুদ্র পরিবেশবিষয়ক সংগঠন সেভ আওয়ার সির পরিচালক এস এম আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গত ১০ বছরে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা কমে গেছে। ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের কারণে বিদেশিরা এই গন্তব্য এড়িয়ে চলেন।
দেশের আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্রের তালিকা করেছে বাপক। আট বিভাগের জন্য আলাদা বই আকারে এগুলো প্রকাশ করা হয়েছে। বইয়ে আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোর ছবি ও ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। তালিকায় দেশের আট বিভাগে মোট ১ হাজার ৫২৯টি পর্যটনকেন্দ্রের নাম রয়েছে।
বাপকের এই তালিকায় রয়েছে নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি। এতে আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাপকের প্রধান কার্যালয়কে ‘আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান’-এর তালিকায় রাখা হয়েছ। অবশ্য পর্যটন ভবনের কাছেই ইসি ভবন, আইসিটি টাওয়ারসহ গুরুত্বপূর্ণ ও পুরোনো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ভবন সেই তালিকায় নেই।
ঢাকার বিভিন্ন জাদুঘর তালিকায় স্থান পেলেও আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ বিমানবাহিনী জাদুঘরকে রাখা হয়নি। অথচ দেশের প্রথম বিমান জাদুঘর এটি।
বাপকের ব্যবস্থাপক (বিক্রয় উন্নয়ন ও জনসংযোগ) মো. জিয়াউল হক হাওলাদার বাপক ভবনকে আকর্ষণীয় পর্যটন স্থানের তালিকায় রাখার বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ, ক্যাফেটেরিয়া, রেস্তোরাঁ বারসহ পর্যটন করপোরেশনের মোট ৪৭টি ইউনিট বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ৩৪টি ইউনিট পরিচালনা করছে পর্যটন করপোরেশন। বাকি ১৩টি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে।
কর্মকর্তারা বলেন, বিভিন্ন সরকারের আমলে পর্যটন করপোরেশনের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বেসরকারি খাতে দেওয়া হয়।
২০০০ সালের ২৮ মে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে জাতীয় পর্যটন পরিষদের প্রথম সভায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত পর্যটন করপোরেশনের ইউনিটগুলো ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর কক্সবাজারের মোটেল লাবণী, রাঙামাটির পর্যটন বার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় পর্যটন করপোরেশন।
এখনো ১০টি রেস্তোরাঁ ও বার, একটি সুইমিং পুল, একটি লেক ও একটি পার্ক নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি তারা। এর মধ্যে রয়েছে—শাহবাগের সাকুরা রেস্তোরাঁ ও বার, মহাখালীর রুচিতা রেস্তোরাঁ ও বার, নারায়ণগঞ্জের মেরি অ্যান্ডারসন ভাসমান রেস্তোরাঁ ও বার, চট্টগ্রামের ভাটিয়ারী গলফ ক্লাব বার, চট্টগ্রামের ফয়’স লেক ইত্যাদি।
বাপক-বিটিবি উভয়েরই অন্যতম একটি উদ্দেশ্য ও কাজ হচ্ছে, নারীর আর্থিক সচ্ছলতা ও ক্ষমতায়নে পর্যটনশিল্পে তাঁদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে এখন পর্যন্ত সন্তোষজনক কোনো অগ্রগতি নেই।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘ট্যুরিজম স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্ট ২০২০’ শীর্ষক একটি জরিপ প্রতিবেদনে এমন চিত্রই উঠে এসেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরকে বিবেচ্য বছর ধরে করা সেই জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, আট বিভাগীয় সদর দপ্তর, ৫৬টি জেলা সদর এবং পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে অবস্থিত হোটেল, মোটেল ও রেস্তোরাঁয় কাজ করেন ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৮ কর্মী। তাঁদের মধ্যে নিয়মিত কর্মী প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার ও খণ্ডকালীন প্রায় ১৪ হাজার। নিয়মিত কর্মীদের মধ্যে পুরুষ ৯২ এবং নারী ৮ শতাংশ। আর খণ্ডকালীন কর্মীদের মধ্যে পুরুষ ৮১ ও নারী প্রায় ১৯ শতাংশ।
কক্সবাজারভিত্তিক সংগঠন বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের সভাপতি শামীম আক্তার বলেন, শিক্ষাগত যোগ্যতা কম, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সংশ্লিষ্ট খাতে প্রশিক্ষণ না থাকায় নারীদের পর্যটনসংশ্লিষ্ট খাতে অংশগ্রহণ কম।
পাঁচ দশক পেরিয়ে গেলেও দেশের পর্যটনশিল্প কীভাবে এগিয়ে যাবে, তার কোনো মহাপরিকল্পনা এখনো হয়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার এক বছর পর জন্ম নেওয়া বাপক প্রায় চার দশকে মহাপরিকল্পনা করতে পারেনি। ২০১০ সালে গঠিত বিটিবিও এক দশকের বেশি সময় পার করে দিয়েছে। কিন্তু মহাপরিকল্পনা করতে পারেনি। ফলে স্বাধীনতার পর থেকে বিচ্ছিন্নভাবে পর্যটনশিল্প এগোচ্ছে।
করপোরেশনের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, মহাপরিকল্পনা না থাকায় পরিকল্পনা অনুযায়ী বিপণন ও প্রচার করা যাচ্ছে না। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কিছু কাজ করা হচ্ছে।
পর্যটনশিল্পের বিকাশে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তরের কাজের সমন্বয়ের জন্য ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি জাতীয় পর্যটন পরিষদ গঠন করা হয়। পরিষদের বছরে অন্তত দুটি সভা করার কথা। পরিষদ গঠনের পর গত ৩০ বছরে সভা হয়েছে মাত্র তিনটি। প্রথম সভা ২০০০ সালের মে, দ্বিতীয় সভা ২০০৯ সালের অক্টোবরে এবং তৃতীয় ও সর্বশেষ সভা হয় ২০১৫ সালের মার্চে। ২০১৯ সালের গেজেট অনুযায়ী, এই পরিষদের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী। বেসামরিক বিমান ও পর্যটনসচিব পরিষদের সদস্যসচিব।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাপক ও বিটিবির তিনজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, পর্যটনশিল্প দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু পর্যটনমন্ত্রীর কথা অন্য মন্ত্রীরা শোনেন না। তাঁরা শুধু শোনেন প্রধানমন্ত্রীর কথা। এ জন্য জাতীয় পর্যটন পরিষদের নিয়মিত সভা হওয়া জরুরি।
টোয়াবের সাবেক সহসভাপতি তৌফিক রহমান বলেন, অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগ পর্যটনশিল্পকে আপন মনে করে না। তাই এই শিল্পকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে নিতে হবে। অনেক মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত থাকায় বিশ্বের অনেক দেশে এমনই করা হয়।