ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ ওঠার পর তাঁর বিচার চেয়ে ক্যাম্পাসে আজ রোববার মশালমিছিল করেন বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ ওঠার পর তাঁর বিচার চেয়ে ক্যাম্পাসে আজ রোববার মশালমিছিল করেন বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা

যৌন নিপীড়নের অভিযোগ, ঢাবি শিক্ষকের বিচার চেয়ে মশালমিছিল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ ওঠার পর তাঁর বিচার চেয়ে ক্যাম্পাসে মশালমিছিল করেছেন বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা।

রোববার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে থেকে মশালমিছিল বের করেন বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা। ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিপীড়নবিরোধী মশালমিছিল’ ব্যানারে মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এসে শেষ হয়। এরপর সেখানে সমাবেশ হয়।

সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা মোজাম্মেল হক বলেন, ‘গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির যে অভিযোগ সামনে এসেছে, সেটি অবিলম্বে তদন্ত করতে হবে। তদন্ত চলাকালে ওই শিক্ষককে সাময়িক অব্যাহতি দিতে হবে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলকে কার্যকর করার দাবিও জানান তিনি।

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেত্রী নুজিয়া হাসিন বলেন, একজন শিক্ষকের আচরণ হওয়া উচিত অভিভাবকসুলভ। কিন্তু কিছু শিক্ষক কর্তৃত্ববাদী আচরণের মাধ্যমে ক্লাসগুলোকে কারাগারে পরিণত করেছেন। তাঁদের বিরূপ আচরণের ভয়ে শিক্ষার্থীরা অনেক সময় ভুক্তভোগী হয়েও কোনো অভিযোগ করেন না। এই ক্ষমতাকাঠামোকে পরিবর্তন করতে হবে। নারীবান্ধব ক্যাম্পাস দরকার। সেই উদ্যোগ নেওয়ার মাধ্যমেই নিপীড়ন বন্ধ করা সম্ভব হবে।

এর আগে দুপুরে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালের কাছে কিছু তথ্যপ্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ করেন বিভাগের এক ছাত্রী। এর আগে শনিবার প্রক্টর মো. মাকসুদুর রহমানের কাছেও লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।

এদিকে ২০২২ সালে ওই অধ্যাপকের ঘনিষ্ঠ এক ছাত্রের মাধ্যমে যৌন হয়রানির একটি ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আরেক ছাত্রী। তিনিও রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে অভিযোগ করেছেন।