চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের আবাসিক হল সোহরাওয়ার্দীর মূল ফটকের পাশ থেকে একটি অজগর উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে ফটকের পাশের নালা থেকে এটিকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকর্মীদের ধারণা, খাবারের সন্ধানে অজগরটি হলের সামনে চলে এসেছিল। এটি প্রায় ৮ ফুট লম্বা।
জানতে চাইলে ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফুয়াদ মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা রাতে হাঁটাহাঁটি করার একপর্যায়ে অজগরটিকে দেখতে পান। যেহেতু অজগর নির্বিষ, তাই বিচলিত না হয়ে শিক্ষার্থীরা উৎসাহ নিয়ে দেখছিলেন। একপর্যায়ে উদ্ধারকারী দলকে মুঠোফোনে কল দিয়ে বিষয়টি জানালে তাঁরা এসে এটিকে উদ্ধার করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোসাইটি ফর স্নেক অ্যান্ড স্নেকবাইট অ্যাওয়ারনেস নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা অজগরটি উদ্ধার করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের মানুষকে সাপ সম্পর্কে সচেতন করতে ২০২০ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মো. রফিকুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী।
জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের দেশে তিন ধরনের অজগর পাওয়া যায়। এটি বার্মিজ অজগর। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে এ ধরনের অজগর বেশি দেখা যায়। এর আগে তাঁরা ১৫ ফুট লম্বা অজগরও পেয়েছেন। হাঁস-মুরগি, ছোট বিড়ালের মতো যত বন্য প্রাণী রয়েছে, এগুলো অজগরটি খেতে পারে। এ ধরনের অজগর শান্ত থাকে, খুব সহজে কাউকে কামড়ায় না।’
রফিকুল ইসলাম বলেন, তাঁদের দলের সদস্যরা এটিকে উদ্ধার করে যেদিকে মানুষ যায় না, সেখানে ছেড়ে দিয়ে এসেছেন। তাঁরা বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের সাপের ব্যাপারে সচেতন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোবরাসহ ছয় ধরনের বিষধর সাপ পাওয়া যায়।