নির্বাচনে প্রার্থীদের সম্পদনামা এবং সুবচন নির্বাসনে

আয় বা সম্পদ বাড়ানো কোনো বেআইনি কাজ নয়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলফনামায় সম্পদের হিসাব দিয়েছেন। গত ১৫ বছরে প্রায় সবারই সম্পদ বেড়েছে অস্বাভাবিক গতিতে।

জামালপুরের নালিতাবাড়ীর কলেজ মাঠে সত্তরের দশকের মাঝামাঝি নাটক সুবচন নির্বাসনে মঞ্চস্থ হয়েছিল। আমার শিক্ষক পিতা ওই নাটকে বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তাই দেখেছিলাম। নাট্যকার আবদুল্লাহ আল–মামুন স্বাধীনতা-উত্তর সমাজে নানা অবক্ষয়কে তুলে ধরে তা লিখেছিলেন। নাট্যকারের দেওয়া নৈতিকতার বার্তা সেদিন কিছুটা অনুভব করেছিলাম।

সে শিক্ষা আজীবন মনে রাখার মতো বিষয়। আজকাল নির্বাচনে প্রার্থীদের সম্পদ ও আয় নিয়ে একে একে থলের বিড়াল যেভাবে বের হচ্ছে, তাতে একজন আবদুল্লাহ আল–মামুনের প্রয়োজন খুব অনুভূত হচ্ছে। মানুষের অর্থবৃদ্ধি প্রয়োজন। পাশাপাশি নৈতিকতার সুবচন একেবারেই নির্বাসিত হয়ে গেল কি না, সে প্রশ্নই আজ হাজার মনে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

ছোটবেলায় পাটিগণিত পড়তে গিয়ে আমরা যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ শিখেছিলাম। তখনো জানতাম না, এসবের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কাজে লাগবে গুণের নিয়ম। আমাদের গুণী সংসদ সদস্যরা গত ১০-১৫ বছরে সম্পদ ও আয়ের পরিমাণ বাড়িয়েছেন কয়েক গুণ, শতগুণ। আগের নির্বাচনগুলোর সময়ও প্রকাশিত হলফনামা শুধু যোগ-বিয়োগের অঙ্ক দিয়েই সারানো যেত।

কিন্তু প্রার্থীদের আয়-সম্পদের স্ফীতি যোগ-বিয়োগকে অচল করে দিয়েছে। আপাতত গুণের নিয়ম ছাড়া কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। কোনো কোনো সম্পদওয়ালার হিসাব গুণ অঙ্কেও কুলোচ্ছে না। তাঁদের সম্পদ বৃদ্ধির হিসাব কষতে গেলে বর্গফলের আশ্রয় নিতে হচ্ছে। ‘পাওয়ার’-এ থাকা নেতাদের সম্পদ বৃদ্ধির হিসাবে ক্যালকুলাসের ‘পাওয়ার’ ছাড়া চলছে না।

অর্থনীতির মাথাব্যথা কেন

কেউ বলবেন, রাজনীতিকেরা উচ্চমার্গের লোক। তাঁদের নিয়ে অন্যের কিছু বলার অর্থ ঈর্ষা অথবা আস্ফালন। পাশ্চাত্যের চোখে অর্থনীতির পিতার নাম অ্যাডাম স্মিথ, যিনি ১৭৫২ সালে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে নৈতিকতার দর্শন পড়ানো শুরু করেন। তিনি পুঁজিবাদের মধ্য দিয়ে সম্পদ বৃদ্ধির কথা বললেও নৈতিকতা বজায় রাখার প্রশ্নে একচুলও সরে আসেননি। স্মিথের কল্পিত বাজারে একটি ‘অদৃশ্য হাত’ রয়েছে, যা চাহিদা-জোগানের সমন্বয় ঘটিয়ে ভারসাম্য দাম ও দ্রব্যের পরিমাণ ঠিক করে দেয়।

কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিকদের হেফাজতে যে আরেকটি ভয়ানক অদৃশ্য হাত আছে, সেটা অ্যাডাম স্মিথ দেখে যেতে পারলেন না। এই হাত আলোর গতিতে সম্পদ বৃদ্ধি করে। আইনস্টাইনও এটি দেখে যেতে পারলেন না। তবে আজকের অমর্ত্য সেন কিছুটা দেখেছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন, তেতাল্লিশের বঙ্গীয় মন্বন্তর ও চুয়াত্তরে বাংলাদেশের দুর্ভিক্ষ—কোনোটিই স্বল্প উৎপাদনের কারণে হয়নি। হয়েছে মালিকানা ও সম্পদ বণ্টনের ব্যাপক অসাম্যের কারণে। এই অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছিলেন।

ব্যাপক সম্পদবৈষম্য সমাজকে দুর্ভিক্ষের মতো বিপর্যয়েও ফেলতে পারে। যুবসমাজের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও বিক্ষোভ মাথাচাড়া দিতে পারে। বিপ্লবী কবি সুকান্তের রচনায় তা সাক্ষ্য হয়ে আছে। রবীন্দ্রনাথও শরীরের সব রক্ত মুখে জমা হওয়াকে সুস্থতার লক্ষণ মনে করেননি। তাই সম্পদ লুণ্ঠন ও ব্যাপক আয়বৈষম্য কমানো রাষ্ট্রের নিজের অস্তিত্বের স্বার্থেই প্রয়োজন।

২০০২ সালের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ ই স্টিগলিৎজ যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সম্পদ ফারাকের বিরুদ্ধে সরকারকে সতর্ক করেছেন। এতে আরও উচ্চবাক অর্থনীতিবিদ টমাস পিকেটি। তাঁর একবিংশ শতাব্দীর পুঁজি বইটি বেস্ট সেলার হয়েছিল। তাঁর মতে, কেবল সরকারি সদিচ্ছা ও যোগ্য নীতিমালাই সম্পদের কেন্দ্রীভবন ও গোষ্ঠীতন্ত্রের উদ্ভব থেকে একটি রাষ্ট্রকে বাঁচাতে পারে।

পিকেটির বইয়ের মূল্যায়ন করতে গিয়ে অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান বলেন, একটি সমাজে তখনই ‘পিতৃতান্ত্রিক পুঁজিবাদ’ গড়ে ওঠে, যখন মেধাবীরা অর্থনীতি চালায় না, চালায় কিছু ‘ফ্যামিলি ডাইনেস্টি’। তবে নির্বাচনে প্রার্থীদের সম্পদ বৃদ্ধির খতিয়ান দেখলে ক্রুগম্যান বা পিকেটি তাজ্জব হয়ে যেতেন। দারিদ্র্যের অর্থনীতিবিদ নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও এর কোনো উত্তর নেই।

সম্পদ স্ফীতির কিঞ্চিৎ নমুনা

জীবনে প্রয়োজন খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান। তাই খাদ্য দিয়েই শুরু করি। গত ১৫ বছরে খাদ্যমন্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ৯৮ গুণ। এটি সম্পদের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি প্রায় ৪০ শতাংশের কাছাকাছি। এই একই সময়ে বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের গড় বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থাৎ খাদ্যমন্ত্রীর সম্পদ বৃদ্ধির হার জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধির ৬ গুণের বেশি। তাঁকে পদক দেওয়া উচিত।

ছোটবেলায় শিখেছি, ‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল’। হয়তো সে জন্যই এই একই কালপর্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ১১ গুণের বেশি আর আয় বেড়েছে ১১ দশমিক ৬৩ গুণ। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী একজন এমবিএ, যা পড়লে বিজনেস শেখা যায়। তিনি ২ কোটি টাকাকে ৮৯ কোটি টাকায় পরিণত করেছেন।

এখন প্রযুক্তির যুগ। নানু-দাদুরাও মোবাইল ফোন টেপেন। তাই হয়তো তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী প্রায় শূন্য থেকে কোটিপতি হয়েছেন। ২০০৮ সালে তিনি ধারদেনা করে নির্বাচনের খরচ জুগিয়েছিলেন। ব্যাংকে ছিল নিজের ২০ হাজার ও স্ত্রীর ১০ হাজার টাকা। এবার নিজের নামে ৪ কোটি ৭১ লাখ ৮২ হাজার ৪৪৫ টাকার সম্পদের হিসাব উল্লেখ করেছেন। তাঁকে ব্যাংকবিষয়ক মন্ত্রী বানালে ভালো হতো।

কারণ, তিনি জানেন কী করে তারল্য বজায় রাখতে হয়। শুনেছি, তাঁর কাছে নাকি ১০ হাজার মার্কিন ডলারও আছে। আশা করব, গভর্নর অন্তত এদিকে হাত বাড়াবেন না।

যাঁরা নগদ ডলার বালিশের নিচে রেখে কথাটা চেপে গেছেন, তাঁরা বুদ্ধিমান বটে।

মার্কিন ফেড চেয়ার জেরোমি পাওয়েল এখনো টের পাচ্ছেন না, তাঁর ছাপানো এত ডলার গেল কোথায়! জানতে পারলে কালই ঢাকায় চলে আসবেন এবং নির্বাচন কমিশনে ধরনা দেবেন। যাওয়ার বেলায় তিনি অবশ্য নির্বাচন কমিশনের সম্পদনামা প্রকাশের এই প্রথাকে ধন্যবাদ দিয়ে যাবেন।

পুরান ঢাকার নতুন জাদুকর

সম্পদ বৃদ্ধি পুঁজিবাদের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক এক দিনেই ৩৬ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ বাড়িয়েছিলেন, যা জগতে এখনো এক রেকর্ড। হার্টজ নামে এক ভাড়া ট্যাক্সির কোম্পানি হঠাৎ ঘোষণা দিল, তারা এক লাখ টেসলা গাড়ি কিনবে, যা মাস্কের কারখানায় তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি। সঙ্গে সঙ্গে টেসলার শেয়ারের দাম বেড়ে গেল এবং এই কোম্পানি প্রথমবারের মতো এক ট্রিলিয়ন ডলার বাজার পুঁজি ছাড়িয়ে গেল। ওই কোম্পানিতে মাস্কের শেয়ার ২০ ভাগ, যা থেকে তাঁরও ব্যক্তিগত সম্পদ বেড়ে গেল।

মাস্কের এই পুরো বিষয় খুবই স্পষ্ট ও আইনসম্মত। ফাইন্যান্স বা হিসাববিদ্যার যেকোনো ছাত্র কয়েক মিনিটের অঙ্ক কষেই এই সংখ্যা বের করে দিতে পারে। কিন্তু আমাদের ভাগ্যনিয়ন্তা মন্ত্রী, অমন্ত্রী, এমপি বা রাজনৈতিক নেতাদের সম্পদ কীভাবে এত মাত্রায় বেড়ে গেল, তার হিসাব কেউই দিতে পারবে না। দেওয়ার চেষ্টা করলে বিপদের আশঙ্কা আছে। শুনেছি কেউ কেউ সঙ্গে বন্দুকও রাখেন।

এমন একজন সম্পদ জাদুকরের নাম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র, মাত্র আট বছরে যাঁর আয় ও সম্পদ বেড়েছে ২৭ গুণের বেশি।২০১৫ সালে মেয়র হওয়ার আগে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ৪১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। বর্তমানে ১১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। তিনিও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

পশ্চিম পাকিস্তানে অন্যায্য সম্পদ বৃদ্ধির ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোই ছিল বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ, যা শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতাযুদ্ধে রূপ লাভ করে। আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা ‘সোনালি আঁশ’ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। ভাগ্যকেও ‘সোনালি’ বানিয়ে ছেড়েছেন। তাঁর গত ১৫ বছরে বার্ষিক আয় বেড়েছে ১১ গুণ আর সম্পদ বেড়েছে ২৫ গুণ। এগুলো বিদেশে প্রচারিত হলে বৈশ্বিক ধনকুবেররা মুহূর্তেই বাংলাদেশে ঝাঁপিয়ে পড়বেন। কিন্তু অচিরেই অনুধাবন করবেন, শুধু সরকারি রাজনীতি করলে এবং ভাগ্যগুণে মনোনয়ন পেলেই এহেন উন্নতি সম্ভব।

রাজমহিষীদের গল্প

আয় বা সম্পদ বাড়ানো কোনো বেআইনি কাজ নয়। কারণ, পাঁচ বছরের ব্যবধানে স্বয়ং আইনমন্ত্রীরই অস্থাবর সম্পদ সাড়ে ১১ গুণ বেড়েছে। স্থাবর সম্পদ বেড়েছে প্রায় চার গুণ। আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, তাঁর মায়ের মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারসূত্রে মায়ের সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। এ কারণে তাঁর সম্পদ বেড়েছে। আইনমন্ত্রীর সম্পদ বৃদ্ধির কারণ জানা গেলেও অনেকের ক্ষেত্রে যৌক্তিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।

যে দেশে শ্রমিকেরা তাঁদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির জন্য রাজপথে রক্ত দেন, সেই দাবি করে কেউবা চাকরি হারান, যেখানে শিক্ষকেরা মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বেতন বৃদ্ধির মুখ দেখেন না, সে দেশে অনেকে কীভাবে সম্পদ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করে চলেছেন—তা অনুসন্ধানের দাবি রাখে বৈকি। বাংলার আকাশ এখন তারায় তারায় খচিত, এরা সবাই সম্পদ তারকা। যতটুকু চোখে দেখি, তারকাদের আসল আয়তন তার চেয়ে অনেক বড়। লোকে বলে, সব সম্পদ লেখেনি।

শত ঈর্ষা আর হীনম্মন্যতার মধ্যেও আমি এসব সম্পদ তারকার একটি গুণের প্রশংসা না করে পারছি না। সেটি হলো, সবার অনবদ্য পত্নীপ্রেম। সম্রাট শাহজাহানও বেঁচে থাকলে হীনম্মন্যতায় ভুগতেন। প্রায় সবারই স্ত্রীদের সম্পদ বেড়েছে অনেক গুণ। কখনো এই রাজমহিষীদের সম্পদ বৃদ্ধি মন্ত্রী-এমপির কীর্তিকে ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু সেই স্ত্রীরা কখনোই স্বামীকে ছেড়ে যাননি।

এহেন বন্ধনগুণ যুক্তরাষ্ট্রেও মেলে না। কারও কারও সন্তানেরা রাতারাতি ধনী হয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে এহেন পারিবারিক ভাবনা উন্নত বিশ্বেও মেলে না। বিল গেটস বা জাকারবার্গ তাঁদের সন্তানসন্ততির জন্য তেমন কিছু রেখে যাবেন না বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছেন। সে তুলনায় আমাদের রাজনীতিকদের মানবিক গুণ অনেক উন্নত। তাঁরা তাঁদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন সুখে দিন কাটাতে পারে, সে ব্যবস্থা করে যাচ্ছেন।

পুঁজি পাচার ও প্রতিকার প্রার্থনা

উন্নয়নশীল দেশে কোনো মানুষের সম্পদ যখন খুব বেশি বেড়ে যায়, তখন তাঁরা সম্পদ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভোগেন। সে তাড়না থেকে বিদেশে সম্পদ পাচার অনিবার্য হয়ে পড়ে। গত দুই দশকে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে মুদ্রা পাচার যে সর্বোচ্চ গতি পেয়েছে, সে কথা কয়েকজন সরকারি কর্তাব্যক্তিও উল্লেখ করেছেন। অবৈধভাবে সম্পদ কামাই করলে পাচারের তাগিদ বাড়ে।

এ ধরনের সম্পদ জাদুকরদের নির্বাচনে প্রার্থিতা দেওয়া রাজনীতির বিচারে অনৈতিক, অর্থনীতির বিচারে আত্মঘাতী। দুর্নীতি ও পুঁজি পাচার নিয়ন্ত্রণ না করে আজও কোনো দেশ উন্নত দেশের তালিকায় উঠতে পারেনি। মধ্যম আয়ে আটকে আছে যুগের পর যুগ, যাকে আবার বিভ্রান্তির বশে আমরা মধ্যম আয়ের ফাঁদ বলে চালিয়ে দিচ্ছি।

বিশেষত সরকারি দলের আনুকূল্য পেলে রাজনীতিকেরা কিছু টাকাপয়সা বানাবেন, এটা আমরা ভাগ্যলিখন বলে মেনেই নিয়েছি। কিন্তু তার মাত্রা না থাকলে সমাজের প্রতি মানুষের ভালোবাসা থাকে না। নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা থাকে না। প্রধানমন্ত্রী অন্যায্য পথে দ্রুত সম্পদ বাড়ানো ব্যক্তিকে শাস্তি দেবেন কিংবা অন্তত আসন দেবেন না—এটি যৌক্তিক প্রত্যাশা। সব সুবচন এখনো নির্বাসিত নয়।

  • ড. বিরূপাক্ষ পাল অর্থনীতির অধ্যাপক, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক অ্যাট কোর্টল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র