ভারতে পদদলিত হয়ে নিহতের ঘটনার ভিডিওকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নারীদের ধর্ষণের পর হত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা
ভারতে পদদলিত হয়ে নিহতের ঘটনার ভিডিওকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নারীদের ধর্ষণের পর হত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা

রিউমর স্ক্যানারের ফ্যাক্ট চেক

ভারতে পদদলিত হয়ে মৃত্যুকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা

বাংলাদেশে একাধিক হিন্দু নারী ও শিশুকে মুসলমানেরা ধর্ষণের পর হত্যা করেছে দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে। ফ্যাক্ট চেক বা তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে, ভিডিওটি বাংলাদেশের নয়, এটি ভারতের একটি ধর্মীয় উৎসবে পদদলিত হয়ে নিহতের ঘটনার।

রিউমর স্ক্যানার আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, এক্সে (সাবেক টুইটার) ভিডিও পাঁচ লক্ষাধিকবার দেখা হয়েছে।

সাম্প্রতিককালে ভারতের অনেক সংবাদমাধ্যম ও সে দেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের অনেকে বাংলাদেশের ঘটনাবলি নিয়ে নানা ভুয়া তথ্য, অপ তথ্য ও গুজব ছড়াচ্ছেন। এর মধ্যে ভারতের ঘটনার ভিডিওকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা দেখা গেল।

রিউমর স্ক্যানারের  অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি গত জুলাইয়ে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধর্মীয় উৎসবে পদদলিত হয়ে শতাধিক নারী ও শিশু নিহতের ঘটনার। অনুসন্ধানে অভিনন্দন কুমার নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ৩ জুলাই প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর দৃশ্যের সঙ্গে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে। হিন্দিতে লেখা ভিডিওটির ক্যাপশন ভাষান্তর করে জানা যায়, উত্তর প্রদেশে হাতরাসে যাওয়ার সময় পদদলিত হয়ে ১২২ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।

ভারতে পদদলিত হয়ে নিহতের ঘটনার ভিডিওকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নারীদের ধর্ষণের পর হত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা

আরও অনুসন্ধানে চন্দ্রশেখর নামের একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে গত ৫ জুলাই প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওর সঙ্গেও আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে। ওই অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এটি একজন ভারতীয় ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট। পরবর্তী অনুসন্ধানে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের ওয়েবসাইটে ৫ জুলাই প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২ জুলাই উত্তর প্রদেশের ফুলরাই গ্রামে হাতরাস অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে অন্তত ১২৩ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় সকলেই নারী ও শিশু। একই তথ্যে সে সময় সংবাদ প্রকাশ করে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ১৮ ও হিন্দুস্তান টাইমস।

রিউমর স্ক্যানার বলছে, ভারতে পদদলিত হয়ে নারী ও শিশু নিহতের দৃশ্যকে বাংলাদেশে হিন্দু নারী ও শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করার দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।