জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬–এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম প্রথম আলোকে বলেন, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আজ মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণের শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে তিনি আদালতে হাজির হননি। তাঁর পক্ষের আইনজীবী সময় চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেন।
আদালত সেই আবেদন নামঞ্জুর করে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আগামী ২ নভেম্বর এই মামলার যুক্তি তর্ক শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সাবেক পূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সংগতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট মামলা করে দুদক। মামলাটিতে ২০০৮ সালের ১৪ মে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে। পুলিশ মির্জা আব্বাসের বাসায় গেলেও তাঁকে খুঁজে পায়নি।