দেশজুড়ে একই সময়ে একসঙ্গে জাতীয় সংগীত গাওয়ার কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। এ সময় উত্তোলন করা হয় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। জাতীয় সংগীতের সঙ্গে দেশাত্মবোধক গানও গেয়েছেন শিল্পীরা।
জাতীয় সংগীত বদলে দেওয়া প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক আলোচনা–সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদ জানিয়ে আজ শুক্রবার সকালে একযোগে পরিবেশন করা হয় জাতীয় সংগীত ও পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি।
সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীতে এই কর্মসূচির আয়োজন করে উদীচী। এ সময় পথচারীরাও গলা মেলান শিল্পীদের সঙ্গে। উদীচীর সঙ্গে অংশ নিয়েছেন খেলাঘর ছাড়াও আরও কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা। এসেছিলেন গণমাধ্যমের শিল্পীরাও।
গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতকে স্বাধীনতার অস্তিত্বের পরিপন্থী উল্লেখ করে পরিবর্তনের দাবি জানান জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের ছেলে সাবেক ব্রিগেডিয়ার আবদুল্লাহিল আমান আযমী। এ সময় তিনি সংবিধানের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
এর প্রতিবাদে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত আমার সোনার বাংলা গাওয়ার কর্মসূচি নেয় উদীচী। একই সময় দেশের সব জেলা শাখাতেও উদীচীর শিল্পীরা কণ্ঠ মিলিয়ে গেয়েছেন জাতীয় সংগীত।
রাজধানীর কেন্দ্রীয় আয়োজনে সূচনা বক্তব্য দেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে। বদিউর রহমান বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র হচ্ছে জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের প্রস্তাব। এই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য করতে পারলে পরবর্তী সময়ে এই গোষ্ঠী আরও অন্যান্য সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে। যা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করতে চাওয়া যেকোনো ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করবে উদীচী। যারা জাতীয় পতাকা, সংগীত নিয়ে ষড়যন্ত্র করে, তাদের আমরা ঘৃণার চোখে দেখব বলে উল্লেখ করেন তাঁরা।