প্রথম আলোর সংবাদ প্রকাশের পর এখন রিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরবেন তারা মিয়া

এক হাতে শক্তিহীন তারা মিয়ার এখন নিজের রিকশা হয়েছে। ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে রাজধানী কারওয়ান বাজারে তাঁর হাতে নতুন ইঞ্জিনচালিত রিকশা তুলে দেন ‘সারা বাংলা ৮৮ ফাউন্ডেশন’ নামের একটি সংগঠনের সদস্যরা
ছবি: সংগৃহীত

রিকশাচালক তারা মিয়ার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার দুর্গাপুরে। তাঁর একটি হাত অকেজো। তবে এই শরীরেই তিনি ঢাকা শহরে একা থাকেন। রিকশা চালিয়ে নিজে চলেন এবং পরিবারকে টাকা পাঠান। তারা মিয়াকে নিয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রথম আলো অনলাইনে ‘জীবনটা অনেক কষ্টের, তবু সম্মান নিয়ে বাঁচি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর তারা মিয়া নানাভাবে সাহয্য–সহযোগিতা পেয়েছেন।

কয়েকজন তাঁর মোবাইলে টাকা পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা মিয়া। গত ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে তিনি উপহার পেয়েছেন একটি ইঞ্জিনচালিত রিকশা। রিকশাটি তিনি নিজেই পছন্দ করে নিয়েছেন।

প্রথম আলোর প্রতিবেদনটি পড়ে তারা মিয়াকে রিকশা কিনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ‘সারা বাংলা ৮৮ ফাউন্ডেশন’ নামের একটি সংগঠনের সদস্যরা। ১৯৮৮ সালে এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের  এই সংগঠন মানুষের কল্যাণে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাবৃত্তি, খাদ্যসহায়তার পাশাপাশি সমাজসেবামূলক বিভিন্ন কাজ করছে।

২৯ সেপ্টেম্বর কারওয়ান বাজারে তারা মিয়ার হাতে রিকশাটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের সদস্যরা (সহসভাপতি এস এম সহিদ, কোষাধ্যক্ষ সানি দে, সাংগঠনিক সম্পাদক তানভির সোহেল, প্রচার সম্পাদক মুকাদ্দেম বাবু, কার্যকরী সদস্য আশরাফ আশু এবং সংগঠনের নারায়ণগঞ্জের প্যানেল সদস্য শাহেনশাহ)।

আজ রোববার কথা হয় তারা মিয়ার সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, রিকশা পাওয়া তাঁর কল্পনার বাইরে ছিল। এত দিন তিনি ভাড়ার রিকশা চালাতেন। তবে এই রিকশা নিয়ে এখন তিনি গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনায় চলে যেতে চান। সেখানে পরিবারের সঙ্গে থেকে তিনি রিকশা চালিয়ে আয় করবেন। তবে বাহনটি কীভাবে নেত্রকোনা নিয়ে যাবেন, তা নিয়েই এখন ভাবছেন তিনি।