ইয়েমেনে অপহৃত জাতিসংঘের কর্মকর্তা বাংলাদেশি নাগরিক এ কে এম সুফিউল আনামের নতুন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদা। ভিডিওতে তিনি তাঁর মুক্তির আকুতি জানান। বিশ্বব্যাপী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর অনলাইন তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী এসআইটিই ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ এ ভিডিওর কথা জানিয়েছে।
১৬ মাস আগে ইয়েমেনে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত সুফিউলসহ পাঁচজন অপহৃত হন। ভিডিওতে সুফিউল সতর্ক করে বলেছেন, তিনি ও তাঁর অপহৃত দুই সহকর্মী ‘গুরুতর অসুস্থ’।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরব উপদ্বীপের আল-কায়েদা (একিউএপি) সুফিউলসহ পাঁচজনকে অপহরণ করে। তারা একটি ফিল্ড মিশন শেষে বন্দর শহর এডেনে ফিরে আসার পথে এ ঘটনা ঘটে।
ভিডিওতে সুফিউলের পরনে নীল শার্ট ও চোখে চশমা ছিল। তিনি আগে থেকে প্রস্তুত একটি বিবৃতি দেখে পাঠ করছিলেন। এতে তিনি বলেন, তাঁর অসুস্থ সহকর্মীদের জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে চিকিৎসা প্রয়োজন।
এই বিবৃতি কে বা কারা প্রস্তত করেছে, তা জানার কোনো উপায় নেই। ৩ জুন এই ভিডিও রেকর্ড হয়। এর আগে সুফিউলের রেকর্ড করা একটি ভিডিও গত বছরের সেপ্টেম্বরে অপহরণকারীরা প্রকাশ করেছিল।
২০১৪ সালে ইরান–সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখল করলে দেশটিতে সংঘাত শুরু হয়। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের সমর্থনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট হুতিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। একিউএপি এবং ইসলামিক স্টেট গ্রুপের অনুগত জঙ্গিরা সংঘাতের এ সুযোগে ইয়েমেনে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
আল-কায়েদার ইয়েমেন ও সৌদি শাখা মিলে গঠিত একিউএপি ইয়েমেনের বিদ্রোহী ও সরকার—উভয় পক্ষকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। পাশাপাশি বিদেশিদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে।
ইয়েমেন যুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। তবে গত বছরের এপ্রিলে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় ছয় মাসের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এ ধরনের হামলার ঘটনা অনেকটাই কমে গেছে।