রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সড়ক দুর্ঘটনার বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে। ঢাকা, ২৭ জানুয়ারি
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সড়ক দুর্ঘটনার বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে। ঢাকা, ২৭ জানুয়ারি

সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে সমন্বিত জাতীয় উদ্যোগ প্রয়োজন: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

সড়কে দুর্ঘটনা কমাতে প্রয়োজন সমন্বিত জাতীয় উদ্যোগ। পাশাপাশি মেট্রোরেল ও নতুন উড়ালসড়কগুলো স্বল্প খরচে সাধারণ মানুষের ব্যবহার উপযোগী করার কথাও ভাবতে হবে সরকারকে।

আজ শনিবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২০২৩ সালের সড়ক দুর্ঘটনার বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ ও পর্যালোচনা বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা উঠে আসে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে আয়োজন করা হয় সংবাদ সম্মেলনের।

সংবাদ সম্মেলনে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, প্রতিবেদনে যত দুর্ঘটনার কথা বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার সংখ্যা তার চেয়ে বেশি। দুর্ঘটনা অনেক বেশি ভয়াবহ না হলে তা গণমাধ্যমে আসে না। তবে সম্প্রতি পুলিশ ও কর্তৃপক্ষের তৎপরতার কারণে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা সামান্য কমেছে। দুর্ঘটনার সংখ্যা কমানো ও সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে সমন্বিত জাতীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাহবুব উদ্দিন আহমেদ প্রতিবেদন পড়ে শোনান। এতে ১০টি সুপারিশ করা হয়। সেগুলো হলো দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি, চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট; বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি; পরিবহনমালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা রাস্তা (সার্ভিস লেন) তৈরি; পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ; গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ; রেল ও নৌপথ সংস্কার করে সড়কপথের ওপর চাপ কমানো; টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন এবং ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন।

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা দেখছি, সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ে থেকে বারবার ব্যবসায়ী মনোভাব দেখা যায়। জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুটের মাধ্যমে একধরনের বৈষম্য তৈরি করা হয়। ফলে মানুষের সব সুবিধা নেওয়া সম্ভব হয় না। যা আমরা দেখতে পারছি মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেস ব্যবহারে।’

গণপরিবহনবিশেষজ্ঞ সৈয়দ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘সবাই মিলে সমাধান চেষ্টা করলে এবং আমাদের সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হলে আমি মনে করি, ৮০ থেকে ৭০ শতাংশ দুর্ঘটনা কমে যাবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেজিন্ট ডিজিটালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (রিসার্চ অ্যান্ড ডিজিটাল ইন্টারভেনশন এক্সপার্ট) আমিনুর রহিম, রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।