জাহিদুল ইসলাম ওরফে মিয়া আরেফি
জাহিদুল ইসলাম ওরফে মিয়া আরেফি

মিয়া আরেফিকে রিমান্ডে না নিয়ে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ ডিবির

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা জাহিদুল ইসলাম ওরফে মিয়া আরেফিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়নি। তাঁকে জেলগেটেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ শনিবার এ তথ্য জানা গেছে।

ডিবি বলছে, উচ্চপর্যায়ের একটি মহল থেকে অনুমতি না পাওয়ায় জাহিদুল ইসলামকে রিমান্ডে নেওয়া যায়নি। তবে তাঁর কাছ থেকে যা জানার ছিল, আদালতের অনুমতি নিয়ে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেসব তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি এখন কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পরপর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান জাহিদুল ইসলাম। সেখানে নিজেকে বাইডেনের উপদেষ্টা মিয়া আরেফি পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। পরদিন ২৯ অক্টোবর তাঁকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সেদিনই ‘মিথ্যা পরিচয়ে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের’ অভিযোগে পল্টন থানায় মামলা করেন মহিউদ্দিন শিকদার নামের এক ব্যক্তি। পরে ২ নভেম্বর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তাঁকে কে ওই দিন বিএনপির কার্যালয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং কেন গণমাধ্যমে তিনি এভাবে বক্তব্য দিয়েছিলেন।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশীদ আজ প্রথম আলোকে বলেন, বাইডেনের কথিত উপদেষ্টাকে ডিবি জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তাঁর কাছ থেকে যেসব তথ্য জানার ছিল, জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি সেসব তথ্য পেয়েছে।

পল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে জাহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সেখানে বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী। পল্টন থানার মামলায় তাঁদেরও আসামি করা হয়েছে। চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী আট দিনের রিমান্ড শেষে এখন কারাগারে রয়েছেন।