গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, মানুষ ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে যাবে না। ভোটকেন্দ্রে লোক আনার জন্য সরকার এতটাই মরিয়া যে তারা হাইকোর্টে রিট করেছে। যাঁরা সরকারি সুবিধা ভোগ করেন, তাঁদের ভোট দিতে বাধ্য করার জন্য আদালতে এ রিট আবেদন করা হয়েছে।
নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখানোর জন্য নিজেদের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী নামিয়েছে। এই স্বতন্ত্ররা নিজেদের আধিপত্য নিশ্চিত করার জন্য নিজেরা খুনোখুনি করেছে এবং এর দায় বিরোধীদের ওপর চাপানোর ষড়যন্ত্র করছে।
আজ বুধবার, বেলা সাড়ে ১১টায় ‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’—এ আহ্বান জানিয়ে রাজধানীর ফার্মগেটে আনন্দ সিনেমা হলের মোড়ে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশে নেতারা এসব কথা বলেন।
সভাপতিত্ব করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। সমাবেশে বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দীন মাহমুদ, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন। সঞ্চালনা করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান।
সমাবেশে নেতারা আরও বলেন, জাতীয় পার্টিকে রাজনৈতিকভাবে ভিক্ষুকে পরিণত করে আওয়ামী লীগ তাদের সহযোগী করেছে। এখন টাকাপয়সার ভাগ–বাঁটোয়ারা না পেয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা সাজানো নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছেন।
নেতারা আরও বলেন, সরকার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসকে আইনি ব্যবস্থার দোহাই দিয়ে তড়িঘড়ি করে শাস্তির ব্যবস্থা করেছে। আইনি ব্যবস্থাকে বোবা-কালা-অন্ধ বানিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের তড়িঘড়ি করে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করে শাস্তি ঘোষণা করছে।
সমাবেশের পরে গণতন্ত্র মঞ্চের একটি মিছিল গ্রিন রোড, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় হয়ে নীলক্ষেত মোড়ে গণসংযোগ করে শেষ হয়।
তবে গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, তাদের সমাবেশ শুরু হওয়ার পরপরই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সমাবেশ পণ্ড করার জন্য সেখানে নির্বাচনী প্রচার মাইকে শব্দ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। সমাবেশ শেষে মিছিলসহ গণসংযোগ শুরু হলে তাদের ভয় দেখানোর জন্য লাউড স্পিকার বসানো ট্রাক নিয়ে বিকট শব্দ করে মিছিল অনুসরণ করা হয়। তারা এর নিন্দা করেছে।