নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে সারা দেশে আজ সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো হরতাল পালন করছে বিএনপি। গতকাল রোববারের মতো আজও চট্টগ্রাম নগরে গণপরিবহন কম দেখা গেছে। ব্যক্তিগত গাড়িও কম ছিল। এ ছাড়া দূরপাল্লার বাস চলাচল করেনি।
আজ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরের মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট, জামালখান, অলংকার, এ কে খান, কর্নেলহাট, সাগরিকা মোড়, টাইগারপাস, ওয়াসা মোড়, জিইসি, প্রবর্তক, নিউমার্কেট, কদমতলী ঘোরেন এই প্রতিবেদক। দেখা যায়, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ নানা যানবাহন চলছে। তবে বাসের সংখ্যা গতকালের মতো আজও তুলনামূলক কম। অবশ্য নগরের বিভিন্ন মোড়ে পুলিশের সতর্ক অবস্থান দেখা গেছে।
মুরাদপুর মোড়ে কথা হয় বাসচালক হানিফ মিয়ার সঙ্গে। তিনি যাত্রীর অপেক্ষায় ছিলেন। হানিফ বলেন, সড়কে যাত্রী আছেন। এ কারণে সকালে বাস নিয়ে বের হয়েছেন। সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মো. নোমান বলেন, এক দিনে তাঁর ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা আয় হয়। এ আয়েই সংসার চলে। এর ফলে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় না নামলে পেট চলবে না।
জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি মোহাম্মদ মুছা প্রথম আলোকে বলেন, হরতালের দ্বিতীয় দিনে আজও আনোয়ারা, পটিয়া, বোয়ালখালী, বাঁশখালী, লোহাগাড়াসহ বিভিন্ন উপজেলায় ভেঙে ভেঙে বাস চলাচল করছে। তবে দূরপাল্লার যাত্রী না থাকায় ক্লোজ ডোর বাস চলেনি। রাস্তায় কোনো ধরনের সমস্যাও হয়নি।
এদিকে হরতালের সমর্থনে নগরের বিভিন্ন থানায় মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। পাশাপাশি জেলা-উপজেলায়ও মিছিল করেছেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
নগর বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী প্রথম আলোকে বলেন, একতরফা তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে চট্টগ্রামেও শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। আজ দ্বিতীয় দিনেও জেলা-উপজেলার বিভিন্ন সড়কে হরতালের সমর্থনে পিকেটিং করেছেন নেতা-কর্মীরা। মানুষও স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতালের সমর্থন করেছেন। বিএনপির এ কর্মসূচি সফল।
তবে নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক খোরশেদ আলম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির অযৌক্তিক হরতাল মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন। মানুষ কাজে যাচ্ছেন। রাস্তায় নামছেন। সবকিছু স্বাভাবিক আছে। হরতাল-অবরোধ বাদ দিয়ে নির্বাচনে আসা উচিত বিএনপির।
অন্যদিকে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির জ্বালাও–পোড়াও রাজনীতি মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন। জনজীবন স্বাভাবিক আছে। হরতাল কর্মসূচি ব্যর্থ।